ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়েছিলেন ইউরোপের দেশগুলোর নেতারা। যুদ্ধক্ষেত্রে মস্কোকে একহাত নিতে কিয়েভকে নানাভাবে সহায়তা করেছেন তাঁরা। তবে যুদ্ধ শুরুর আট মাসের বেশি সময় পার হওয়ার পর পরিস্থিতি এখন ভিন্ন। ইউরোপে শুরু হয়েছে শীতের দাপট। দেখা দিয়েছে জ্বালানিসংকট, হু হু করে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম।
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের কেউ কেউ। ফলে সামনের দিনগুলোতে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারে ইউরোপ। সব মিলিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, আথিক সংকটের মুখে ইউরোপের দেশগুলো কি ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়া বন্ধ করবে? এই প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে।
আর্থিক সংকটে বেসামাল ইউরোপ
রোমভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক নাথালি তোকি মনে করেন, আর্থিক সংকটের জেরে ইউরোপের দেশগুলো ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা কমিয়ে দিতে পারে। তবে সহায়তা কমানোর ক্ষেত্রে আসল বদলটা আনতে পারে যুক্তরাষ্ট্র; ইউরোপ নয়।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনকে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পরই রয়েছে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও পোল্যান্ড। এই তিন দেশ কিয়েভকে মোট ৬০০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পরিমাণটা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় চার গুণের বেশি।
এদিকে ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই নির্বাচনের ফলাফল ইউক্রেনে ইউরোপের দেশগুলোর সহায়তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন নাথালি তোকি।