প্রয়াত হয়েছেন ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ। আগামী ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে তাঁর শেষকৃত্য। সেদিন উপস্থিত থাকবেন না রাজপরিবারের বধূ মেগান মর্কেল। তবে প্রিন্স হ্যারি শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। বাকিংহাম প্যালেসের তরফে এই খবর জানানো হয়েছে।
করোনার কারণে প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যে একাধিক বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সেই মতো হয়েছে প্রস্তুতিও। বাকিংহাম প্যালেসের তরফে জানানো হয়েছে তারা প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যে কোনও কমতি রাখবে না। প্রিন্স ফিলিপ ছিলেন ডিউক অফ এডিনবার্গ। ৬৯ বছর তিনি ও তাঁর স্ত্রী এলিজাবেথ একসঙ্গে থেকেছেন। এরপর শুক্রবার ৯৯ বছর বয়সে প্রয়াত হন তিনি। তাঁর শেষকৃত্য রাজকীয় মর্যাদায় পালিত হবে। তবে জনগণের কোনও মিছিল থাকবে না। উইন্ডসোর কাসেলে নির্দিষ্ট ৩০ মানুষের সামনে শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
প্যালেসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ডিউকের জীবন ও রানির সঙ্গে তাঁর ৭০ বছরের দাম্পত্যের প্রতিফলন ঘটবে অনুষ্ঠানে। পাশাপাশি ব্রিটেন ও কমনওয়েলথের জন্য তাঁর অবদানের কথাও উঠে আসবে। কাসেলের জর্জ চাপেলে এক মিনিট নীরবতা পালনের পর হবে অনুষ্ঠান। সেখানে কারা কারা উপস্থিত থাকবেন তা এখনও জানানো হয়নি। তবে প্রিন্স হ্য়ারি যে থাকবেন তা জানা গিয়েছে। তবে উপস্থিত থাকছেন না মেগান মর্কেল। কারণ তিনি গর্ভবতী। চিকিৎসকরা তাঁকে এই অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমতি দেননি।
প্রিন্স ফিলিপ ১৯৪৭ সালে রাজকুমারী এলিজাবেথকে বিয়ে করেছিলেন। ১৯৫২ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটিশ সিংহাসনে আরোহণ করেন। তখন থেকে এ পর্যন্ত নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা প্রিন্স ফিলিপ ২২ হাজার ২১৯টি একক সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নেন। তিনি ব্রিটিশ ইতিহাসের দীর্ঘতম রাজা-রানি। অসুস্থ বোধ করায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ফিলিপকে কিং এডওয়ার্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এক মাসের চিকিৎসা শেষে ১৬ মার্চ হাসপাতাল ছেড়েছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে এবার প্রিন্স ফিলিপ টানা ২৮ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অতীতে কখনো তিনি এত লম্বা সময় ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকেননি।