কংগ্রেস কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে জিগনেশ
ভারতের গুজরাটে গিয়ে বিধানসভার সদস্য ও দলিত সম্প্রদায়ের নেতা জিগনেশ মেওয়ানিকে গ্রেপ্তার করেছে আসাম পুলিশ। গত বুধবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গুজরাটের পালানপুরের একটি গেস্টহাউস থেকে জিগনেশকে গ্রেপ্তার করে আসাম পুলিশের একটি বিশেষ দল। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আমদাবাদ। বৃহস্পতিবার তাকে সেখান থেকে আসামের গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আপত্তিকর টুইটের জন্য জিগনেশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোকরাঝাড়ের বিজেপি নেতা অরূপ কুমার দে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। খবর ডয়চে ভেলে।
গুজরাটের নির্দলীয় বিধায়ক জিগনেশ মেওয়ানি দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। তার দলের নাম রাষ্ট্রীয় দলিত অধিকার মঞ্চ। স্বাধীন বিধায়ক হলেও গোটা দেশেই জিগনেশের রাজনীতি বিস্তৃত। জাতীয় রাজনীতিতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ নাম। ঠিক এক বছর আগে ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারের সঙ্গে তিনি কংগ্রেসের সদর দপ্তরে গেছিলেন। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পর কানহাইয়া কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। জিগনেশ কংগ্রেসকে সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন। রাহুলকে তিনি বলেছিলেন, পরবর্তী গুজরাট নির্বাচনের সময় কংগ্রেসে সরাসরি যোগ দেয়ার কথা ভাববেন তিনি। জিগনেশকে যখন আহমদাবাদ বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন কংগ্রেস নেতারা সেখানে গিয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন।
গুজরাট নির্বাচন রয়েছে দোরগোড়ায়। তার আগে আসাম পুলিশের এ গ্রেপ্তার রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন ফেলেছে। জিগনেশকে কেন গ্রেপ্তার করা হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জিগনেশের বেশ কয়েকটি টুইটের প্রতিবাদ করেছিল প্রশাসন। কিন্তু জিগনেশ তা সরাননি। এর পেছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত আছে বলেও অভিযোগ উঠছে।
ডি- এইচএ