ইংল্যান্ডের প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৮ জনেরই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। দেশটির সরকারের তথ্যানুযায়ী, ভ্যাকসিন থেকে এবং পূর্বে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার মাধ্যমে এই প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করেছে দেশটির নাগরিকরা। ইংল্যান্ডের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর থেকে রক্ত পরীক্ষার তথ্য পর্যালোচনা করা জানা গেছে, দেশের ৮০.৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কের দেহেই কোভিডের বিরুদ্ধে কার্যকরি এন্টিবডি রয়েছে। এর আগে এপ্রিলে এই হার ৭৬ শতাংশ বলে জানানো হয়েছিল।
ডেইলি মেইলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এন্টিবডি হচ্ছে এক ধরণের প্রোটিন যা মানবদেহকে ভাইরাসের আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখে। যদিও শঙ্কা রয়েছে যে, নতুন করে আতঙ্ক হয়ে ওঠা ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে এন্টিবডি ধারণার ন্যায় কার্যকরি নাও হতে পারে। তবে এরপরেও এটি বেশিরভাগ মানুষকে সুরক্ষিত রাখবে এমন আশাই করছেন বিজ্ঞানীরা। দুই ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের মধ্যে মাত্র ৩ জন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বৃটেনে নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে কোভিড-১৯। এর পেছনে রয়েছে মূলত দেশটির শক্তিশালী ভ্যাকসিন কার্যক্রম। সম্প্রতি দেশটিতে ২৫ বছরের বেশি বয়স্কদের ভ্যাকসিন কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত বৃটেনে ৪ কোটিরও বেশি মানুষকে এক ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। ২ কোটি ৮২ লাখ মানুষকে দেয়া হয়েছে উভয় ডোজ ভ্যাকসিন। সরকারি তথ্য বলছে, ভ্যাকসিন কার্যক্রম বৃদ্ধির সঙ্গে এন্টিবডিস¤পন্ন মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে।