ইউক্রেনে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে অর্থায়নের পরিকল্পনা রয়েছে বিশ্বব্যাংকের। এর অংশ হিসেবে দেশটিকে ৩৫ কোটি মার্কিন ডলার দেবে আর্থিক সংস্থাটি। আগামী মার্চের মধ্যেই এ অর্থ ছাড়ের বিষয়টি বিবেচনা করবেন বিশ্বব্যাংকের নীতিনির্ধারকেরা। খবর রয়টার্সের।
এক বিবৃতিতে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার জার্মানির মিউনিখ শহরে বৈঠক করেন সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে মালপাস বলেন, স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে ইউক্রেনের অর্থনীতি ও নাগরিকদের পাশে থাকবে বিশ্বব্যাংক।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট নিয়ে ইউরোপজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। মস্কো ইউক্রেনে হামলা করতে চায়—এমন দাবি করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এর মধ্যেই গতকাল পরীক্ষামূলকভাবে বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। এমন পরিস্থিতিতে বৈঠকে বসেন জেলেনস্কি ও মালপাস।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাংকের প্রাথমিক এ অর্থায়নের পর দেশটিকে আরও নানাভাবে সহায়তা করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনের জ্বালানি ও জলবায়ুসংক্রান্ত খাতে সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ড। বৈঠকে জেলেনস্কি ও মালপাস দেশটির জ্বালানি, অবকাঠামো, রেলপথ, অর্থনীতি এবং পূর্ব ইউক্রেনে কাজের সুযোগসংক্রান্ত একাধিক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে রাশিয়ার হামলার শঙ্কার মুখে গত সোমবার ইউক্রেন থেকে সাময়িকভাবে কিছু কর্মীকে সরিয়ে নেয় বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে দেশটিতে তাদের কার্যক্রম চালু থাকবে বলে জানিয়েছে সংস্থা দুটি।
ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘ সময় ধরে বিপুলসংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া।
প্রতিবেশী দেশ বেলারুশে চলছে দেশটির যৌথ সামরিক মহড়া। ইউক্রেনের দক্ষিণে ক্রিমিয়াতেও ব্যাপক রুশ সেনার উপস্থিতি দেখা গেছে। পশ্চিমাদের দাবি, তিন দিক থেকে ইউক্রেনকে ঘিরে ফেলেছে রাশিয়া। তবে এর সঙ্গে দেশটিতে হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে বারবার জানিয়ে আসছে ক্রেমলিন।