ইউক্রেনের বন্দর। ফাইল ছবি
জটিলতার অবসান ঘটিয়ে ইউক্রেনের তিনটি বন্দরে কাজ শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে জাহাজে খাদ্যশস্য পরিবহনের কাজ। গতকাল বুধবার কিয়েভ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দক্ষিণ ইউক্রেনের তিনটি বন্দরে ফের কাজ শুরু হয়েছে।
এর আগে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেন খাদ্যশস্য রপ্তানির বিষয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছে। কিন্তু তারপরেও বন্দরগুলো খোলা হচ্ছিল না। বুধবার থেকে ফের বন্দরে কাজ শুরু হয়। খবর ডয়চে ভেলের।
ওদেসা, চারনোমরস্ক, পিভদেনিই বন্দর আপাতত খুলেছে। এখান থেকেই খাদ্যশস্য বোঝাই জাহাজ কৃষ্ণসাগরের পথ ধরে আফ্রিকার দিকে যাবে। ইউক্রেন জানিয়েছে, জাহাজগুলির সামনে পেছনে এসকর্ট জাহাজ থাকবে। তারাই নিরাপদ পথ দেখিয়ে খাদ্যবোঝাই জাহাজগুলোকে নিয়ে যাবে।
বস্তুত, এসকর্ট জাহাজগুলোতে অত্যাধুনিক যন্ত্র লাগানো থাকবে। যার সাহায্যে বোঝা যাবে, পানির নিচে কোথাও কোনো মাইন বাধা আছে কিনা।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে একটি যৌথ সমন্বয় সেন্টারও তৈরি করা হয়েছে। বুধবার তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার উদ্বোধন করে বলেন, সারা বিশ্বের চোখ ওই সেন্টারের দিকে থাকবে। কর্মীদের সে কথা মনে রাখতে হবে। ওই সমন্বয় সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমেই খাদ্যশস্য নিয়ে জাহাজগুলো কৃষ্ণসাগরে নামবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর ইউক্রেনের বন্দরগুলো বন্ধ হয়ে গেছিল। যার জেরে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য বাইরে যেতে পারছিল না। রাশিয়া দাবি করেছিল, ইউক্রেন কৃষ্ণসাগরে মাইন পেতে রেখেছে। ইউক্রেনের দাবি ছিল, রাশিয়া কৃষ্ণসাগরে অবরোধ তৈরি করেছে। দুই দেশের মধ্যে এ নিয়ে তীব্র বিতর্ক হয়েছে। অন্যদিকে আফ্রিকাসহ একাধিক দেশে খাদ্য সংকট শুরু হয়। অবশেষে সেই সমস্যার একটি সাময়িক সমাধানসূত্রে পৌঁছানো গেছে। যদিও ইউক্রেনের অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতেও রাশিয়া ওডেসার মতো বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। ফলে বন্দরে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।