শনিবার রাশিয়ার সঙ্গে ক্রিমিয়ার একমাত্র সংযোগ সেতুতে বড় ধরনের বিস্ফোরণের মধ্যেই নতুন কমান্ডারের নিয়োগের ঘোষণা দেয় মস্কো। আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। এমনকি কার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সুরোভিকিন তাও জানায়নি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এপ্রিলে ব্রিটিশ সামরিক গোয়েন্দা জানিয়েছিল, ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর কমান্ডারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেনারেল আলেক্সান্ডার ডিভোরনিকভকে। ইউক্রেনে আক্রমণের দুই মাসের মাথায় তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সেনাবাহিনীর কমান্ড কেন্দ্রীভুত ও নিয়ন্ত্রণের জন্য।
যদিও মস্কোর পক্ষ থেকে ইউক্রেনে সামগ্রিক অভিযানের দায়িত্ব কাউকে দেওয়া হয়েছে বলে স্বীকার করা হয়নি।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, ২০১৭ সাল থেকে ৫৫ বছর বয়সী সুরোভিকিন রাশিয়ার বিমান ও মহাকাশ বাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছেন। ২০০৪ সালে চেচনিয়ায় একটি গার্ড ডিভিশনের কমান্ডার হিসেবে কাজ করেছেন। ওই সময় ইসলামি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সেখানে যুদ্ধ করছিল রাশিয়ার। ২০১৭ সালে সিরিয়ায় অবদানের জন্য তিনি একটি পদক পেয়েছিলেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সের্গেই সুরোভিকিন নব্বইয়ের দশকে তাজিকিস্তান, চেচনিয়াসহ বেশ কয়েকটি বড় যুদ্ধের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০১৫ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অন্যতম মিত্র সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থনে সিরীয় ভূখণ্ডে নিযুক্ত ছিলেন তিনি।
ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে রুশ বাহিনীর ধারাবাহিক বিপর্যয়ে বেশ চাপে পড়েছে রুশ সামরিক বাহিনী। ফলে ইউক্রেনে যুদ্ধের কৌশলেও পরিবর্তন আনছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও জোরদার করেছে রুশ বাহিনী। একই সময়ে রাশিয়ার দখলকৃত ভূখণ্ড মুক্ত করতে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে কিয়েভ।