ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেন আক্রমণের পর ছয় মাসে জ্বালানি রফতানি করে ১৫৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে রাশিয়া। এর অর্ধেকের বেশী এসেছে ইইউ থেকে। একটি থিঙ্ক ট্যাংক মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) একথা জানায়।
রাশিয়ার আগ্রাসনের পর সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার সংস্থা তেল, গ্যাস ও কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় মস্কোর বিরুদ্ধে আরও কার্যকর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছে।
ফিনল্যান্ড ভিত্তিক সংস্থাটি বলেছে, এই বছরে রফতানির পরিমাণ কম হওয়া সত্ত্বেও জীবাশ্ম জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জ্বালানি রফতানি থেকে রাশিয়ার বর্তমান রাজস্ব আয় পূর্ববর্তী বছর গুলোর তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ ব্যাপকভাবে কমিয়ে দেয়ায় ইউরোপে সম্প্রতি প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পরেই অপরিশোধিত তেলের দামও বেড়েছে।
সিআরইএ বলেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের শুরুর পর থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি রপ্তানি রাশিয়ার বাজেটে জন্য প্রায় ৪৩ বিলিয়ন ইউরো অবদান রেখেছে, যা ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা করেছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর ছয় মাসের মধ্যে রাশিয়ার এই আয়ের পরিসংখ্যানটি উদ্বেগজনক। সিআরইএ’র অনুমান করেছে যে, এই সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার জ্বালানির শীর্ষ আমদানিকারক ছিল এবং রাশিয়া জীবাশ্ম জ্বালানী রপ্তানিকারক হিসেবে ইউরোপ থেকে ৮৫.১ বিলিয়ন ইউরো আয় করেছে। এ সময়ে রাশিয়া থেকে চীন ৩৪.৯ বিলিয়ন ইউরো এবং তুরস্ক ১০.৭ বিলিয়ন ইউরোর জ্বালানি আমদানি করেছে।
এনজে