টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে রাশিয়া। রুশ হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়া পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির মিত্ররাও অবশ্য বসে নেই। মস্কোর বিরুদ্ধে আর্থিক লড়াইয়ে নামা পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ঘাড়ে নিষেধাজ্ঞার পাহাড় বসিয়েছে। অবশ্য এতে রাশিয়ার কতটুকু ক্ষতি হয়েছে সেটি নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
কারণ রাশিয়ার জ্বালানি কম-বেশি ইউরোপের প্রায় সকল দেশকেই কিনতে হচ্ছে। তবে বিস্ময়ের বিষয় হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম দুই মাসে রাশিয়ার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি জ্বালানি কিনেছে জার্মানি। কিয়েভের মিত্র এই দেশটি মস্কোর বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনকে আবার অস্ত্রও সরবরাহ করছে। স্বাধীন একটি গবেষণা গ্রুপের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম দুই মাসে রাশিয়ার জ্বালানির সবচেয়ে বড় ক্রেতা দেশ হচ্ছে জার্মানি। গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার-এর তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার তারিখ থেকে অর্থাৎ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি রপ্তানি করে রাশিয়া ৬ হাজার ৬৫০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছে।
জাহাজ চলাচলের পরিসংখ্যান ব্যবহার, পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস প্রবাহের রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং এবং ঐতিহাসিক মাসিক বাণিজ্যের আনুমানিক হিসেবের ওপর ভিত্তি করে গবেষকরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম দুই মাসে জীবাশ্ম জ্বালানি সরবরাহের জন্য জার্মানি একাই রাশিয়াকে প্রায় ৯১০ কোটি ইউরো বা ৯৫৯ কোটি ৯ লাখ ৯০ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার পরিশোধ করেছে।
বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে রুশ জ্বালানি কেনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে জার্মান সরকার। এমনকি রুশ জ্বালানি কেনার বিষয়ে কোনো তথ্যও সামনে আনতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে দেশটি।
জার্মানির দাবি, রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কেনার তথ্য মূলত কয়লা, তেল এবং গ্যাস আমদানী করে থাকে এমন (জার্মান) সংস্থার কাছ থেকে নিতে হবে।