মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাবার ও জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়াও আরো প্রায় এক কোটি মানুষ দারিদ্র্যের মুখোমুখি হতে পারেন। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফকে তৎপরতা বাড়াতেও বলেন তিনি।
বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-এর বসন্তকালীন বৈঠক উপলক্ষ্য আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মার্কিন অর্থমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ শুরুর আগে বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ (মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ) মারাত্মক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ অসহায় মানুষদের সহায়তা করতে পারে, কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়াতে পারে এবং সারের মতো জরুরি পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখার কৌশল বের করতে পারে। খাদ্যদ্রব্যের মূল্য যেন আর না বাড়ে সেজন্য বিভিন্ন দেশের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে চলা উচিত বলেও মন্তব্য করেন ইয়েলেন। খবর: ডয়েচে ভেলের।
২০০৮ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের সময় গরিবদের সহায়তায় কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়াতে ‘বিশ্ব কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা সহায়তা’ কর্মসূচি চালু করেছিল জি-টোয়েন্টি। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই কর্মসূচি অনুসরণ করতে জি-টোয়েন্টিকে পরামর্শ দেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী।
জি-টোয়েন্টির অর্থমন্ত্রীরা বুধবার এক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। প্রথম সেশনে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার অর্থমন্ত্রী শ্রী মুলিয়ানি ইন্দ্রবতী। জি-টোয়েন্টির বর্তমান সভাপতি দেশ ইন্দোনেশিয়া।
শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি-সেভেনের বর্তমান সভাপতি দেশ জার্মানির অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনারও কৃষিপণ্যের অযৌক্তিক রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে চলতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপ্যাস বলেন, উন্নত দেশগুলোর উচিত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে খাদ্য সহায়তা বাড়ানো। এছাড়া খাদ্যশস্য, জ্বালানি ও সার উৎপাদন বাড়ানোরও পরামর্শ দেন তিনি।
এসআর