ইরানের নাতাঞ্জে পারমাণবিক স্থাপনায় বৈদ্যুতিক ‘ইনসিডেন্ট’ দেখা দিয়েছে। তবে পরিষ্কার করা হয়নি ‘ইনসিডেন্ট’ বলতে কি বোঝানো হয়েছে। সেখানে আগুন লেগেছে নাকি অন্য কোনো ধরনের পারমাণবিক বিস্ফোরণ হয়েছে তার কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। এ ছাড়া ভূগর্ভস্থ ওই স্থাপনায় এ ঘটনার সময় কেউ মারা যায়নি। ইরানের প্রেস টিভি’র রিপোর্টে এসব কথা জানানো হয়েছে বলে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এই স্থাপনায় ইরান একদিন আগে উন্নতমানের ইউরেনিয়াম সেন্ট্রিফিউজ তৈরি শুরু করে বলে খবর দেয়া হয়েছিল। ইরানের এটমিক এনার্জি অর্গানাইজেশনের মুখপাত্র বেহরুজ কামালবান্দি বলেছেন, এই ঘটনায় কেউ মারা যাননি বা দূষণ ছড়িয়ে পড়েনি। তিনি শুধু বলেছেন, বিদ্যুতের কারণে নাতাঞ্জ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই স্থাপনাটি ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় ইস্ফাহান প্রদেশে একটি মরুভূমির ভিতর অবস্থিত। ইরান যে তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি পরিচালনা করে এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি বিষয়ক এজেন্সি আইএইএ-এর ওপর নজর রাখে- সেই স্থাপনাটি হলো নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনা। ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স বলেছে, কামালবান্দি বলেছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। গত বছর জুলাই মাসে এই স্থাপনায় অগ্নিকা- দেখা দেয়। তবে একে সরকার ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে স্যাবোটাজ বলে উল্লেখ করেছিল। নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল ২০১০ সালে স্টাক্সনেট নামের কম্পিউটার ভাইরাস সৃষ্টি করেছিল বলে মনে করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তেহরান।