ইরানের কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যে দাঙ্গা হচ্ছে তা বাধিয়েছে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর মারা যান আমিনি। এই লম্বা সময়ে বিষয়টি নিয়ে চুপ ছিলেন ইরানের এই সর্বোচ্চ নেতা। খবর আল জাজিরার।
চলমান এ আন্দোলনকে ‘দাঙ্গা’ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, যারা ইরানের ‘অগ্রগতি’ থামিয়ে দিতে অপচেষ্টা করছে সেই ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র ইরানে দাঙ্গা বাধিয়েছে।
পুলিশ হেফাজতে মাসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানজুড়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পরে। বিক্ষোভকারীরা ইরানে ‘নৈতিকতা পুলিশের’ কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছেন।
ইরানে নারীরা যেন ঢিলেঢালা পোশাক পরেন এবং মাথায় ঠিকমতো হিজাব পরিধান করেন সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে কাজ করে নৈতিকতা পুলিশ। তাদের হাতে আটক হওয়ার পরই মারা যান মাসা আমিনি।
মাসা আমিনির মৃত্যুর ব্যাপারে আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, এটি আমার হৃদয়কে ভেঙে দিয়েছে, এটি একটি তীক্ত ঘটনা।
সোমবার (৩ অক্টোবর) তেহরানে পুলিশ অ্যাকাডেমির অনুষ্ঠানে আন্দোলন নিয়ে খামেনি বলেন, এই দাঙ্গা যুক্তরাষ্ট্র ও অবৈধ ইহুদি অঞ্চল ও বিদেশে বসবাসরত কিছু ইরানির পরিকল্পনায় হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তরুণীর মৃত্যু আমাদের সবাইকে কষ্ট দিয়েছে। কিন্তু এটি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। কিন্তু এর মাঝে দাঙ্গাবাজরা রাস্তায় নেমে এসে কুরআন শরীফ পোড়াচ্ছে, মাথা থেকে হিজাব ফেলে দিচ্ছে, মসজিদ ও মানুষের গাড়িতে আগুন দিচ্ছে। এটি কোনো সাধারণ ও স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া না।
খামেনি দাবি করেছেন, যদি মাসা আমিনির মৃত্যু নিয়ে আন্দোলন না হত তাহলে অন্য কোনো উপায়ে ইরানে দাঙ্গা ছড়াত যুক্তরাষ্ট্র ও অবৈধ ইহুদি অঞ্চল (ইসরাইল)।
এমকে