ক্ষমতা ধরে রাখার প্রায় সব চেষ্টা করেছেন ১২ বছর ধরে ইসরায়েলকে শাসন করা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সম্প্রতি তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ৮ দল মিলে জোট গঠিত হয়েছে দেশটিতে। এ জোট মূলত তার মাথাব্যথার কারণ। শেষ সময়ে এসেও এ জোট ভাঙতে নানাভাবে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু।
রবিবার এ জোট সিনেটে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারলে ইসরায়েল পাবে নতুন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু নেতানিয়াহু তা হতে দেবেন কেন? তাই শেষ চালটি চাললেন বেনি গান্টজকে টোপ দিয়ে।
ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির চেয়ারম্যান বেনি গান্টজকে নেতানিয়াহু শর্ত দিয়েছেন, যদি নতুন জোট থেকে তিনি বের হয়ে যান তাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে পদত্যাগ করবেন নেতানিয়াহু। সংবাদ মাধ্যম এন ১২ এর বরাত দিয়ে জেরুজালেম পোস্ট এ তথ্য জানায়। খবরে বলা হয়, যে জোট সরকার রোববার শপথ নিতে যাচ্ছে তা ভেঙে দেওয়ার বিনিময়ে নেতানিয়াহু পদত্যাগ করবেন। কট্টর এ প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে দায়িত্ব নিতে পারবেন বেনি গান্টজ।
খবরে আরও বলা হয়, নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে গান্টজকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
সর্বশেষ নেতনিয়াহুর দলের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে গান্টজকে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু পদত্যাগে প্রস্তুত। যদিও গান্টজের টিম এ প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে। এ ছাড়া নেতানিয়াহুর পক্ষ থেকে যত প্রস্তাব করা হয়েছে সবগুলো প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
ইয়েস আতিদ নেতৃত্বাধীন ৮ দল নিয়ে নতুন যে জোট হয়েছে তাতে ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টি অন্যতম অংশীদার। সর্বশেষ নির্বাচনে এ দল আসন পেয়েছে ৮টি।
এর আগে ইসরায়েলে ৮টি বিরোধী দল মিলে সরকার গঠনে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে কট্টর বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর যুগের অবসান হতে চলেছে। নেতানিয়াহুর স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন নাফতালি বেনেট। রবিবার নতুন জোট সরকার শপথ নেওয়া কথা রয়েছে।