আইএমএফের ফার্স্ট ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর গীতা গোপীনাথ। ছবিঃ ব্লুমবার্গ
অনেক দেশের জন্যই মার্কিন ডলারের বিপরীতে যখন কিস্তি পরিশোধ কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠেছে। ঠিক তখনই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণ সহায়তার জন্য আবেদন বেড়েছে অনেক বেশি। একের পর এক দেশ আবেদন করছে ঋণ সহায়তা পেতে যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য সুখকর বার্তা বয়ে আনছে না বলেই মনে করছেন আইএমএফের ফার্স্ট ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর গীতা গোপীনাথ।
তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির যে অবস্থা তাতে নিম্নআয়ের পাশাপাশি মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য দ্রুত ও বিস্তৃত পরিসরে অর্থ সহায়তার ব্যবস্থা প্রয়োজন।
সম্প্রতি ব্লুমবার্গ টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
গীতা গোপীনাথ বলেন, প্রায় ৬০ শতাংশ নিম্নআয়ের দেশ উচ্চঝুঁকিতে অথবা এরই মধ্যে ঋণ সংকটে রয়েছে। আর সংকটের পর্যায়ে রয়েছে অন্তত ২০টি উদীয়মান বাজার। আমরা সম্ভবত আরও দেশের জন্য ঋণ ছাড়ের প্রয়োজনীয়তা দেখতে পাবো। বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো কয়েক ধাপে সুদের হার বাড়িয়েছে, যার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের আগ্রাসী পদক্ষেপের। এতে বিভিন্ন মুদ্রার বিপরীতে মর্কিন ডলারের দর বাড়ে ব্যাপক হারে। এর মধ্যেই উন্নয়নশীল দেশগুলো দুর্দশা সংক্রান্ত ঋণের পাহাড় তৈরি করে, যা খেলাপি ঋণের রেকর্ড গড়ার হুমকি সৃষ্টি করেছে।
আইএমএফের এই কর্মকর্তা বলেন, ডলারের তুলনায় উদীয়মান বাজারগুলোর মুদ্রার অবমূল্যায়নে মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এই মুহূর্তে এটি তাদের আর্থিক নীতিকে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং করে তুলছে। এমন অনেক দেশ রয়েছে যারা ডলারে ঋণ নিয়েছে। এটি তাদের দেনা শোধ করাকে আরও কঠিন করে দিয়েছে। করোনা মহামারি চলাকালে নিম্নআয়ের দেশগুলোর ঋণ পরিশোধ স্থগিত অথবা পুনর্গঠনের জন্য ‘কমন ফ্রেমওয়ার্ক’ নামে একটি কর্মসূচি চালু করে গ্রুপ অব ২০ বা জি২০। এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল বেশিরভাগ ধনী ঋণদাতা দেশ। কিন্তু সেই কর্মসূচির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ডিসেম্বরে। এরপরে বৈশ্বিক ঋণের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
সংকট কাটানোর প্রসঙ্গ টেনে আইএমএফ উপ-প্রধান বলেন, খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন এবং ফ্রেমওয়ার্কের পরিধি মধ্যম আয়ের দেশগুলোতেও প্রসারিত করতে হবে।
এমকে