হাইব্রিড কোভিড শনাক্তের পর হো চি মিন সিটিতে বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে ভিয়েতনাম সরকার। বসবাসকারী ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে করোনা টেস্টের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নাগরিকদের সামাজিক দূরত্ব মানাতে বিধিনিষেধে আনা হয়েছে আরও কড়াকড়ি। হাইব্রিড কোভিড যেন ছড়াতে না পারে সেজন্য নেয়া হয়েছে এসব উদ্যোগ।
ভিয়েতনাম কর্তৃপক্ষ বলছে, ৩১ মে থেকে আগামী ১৫ দিন পর্যন্ত কঠোরভাবে মানতে হবে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দোকানপাট ও সব ধরনের রেস্টুরেন্ট। স্থগিত রাখা হয়েছে ধর্মীয় যে কোন বড় অনুষ্ঠান। হো চি মিন সিটিতে ১০ জনের বেশি মানুষকে একসাথে জমায়েত হতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে খুব জরুরি প্রয়োজনে পাঁচজন একসাথে জমায়েত হবে পারবেন।
প্রতিদিন ১ লাখ করে করোনা টেস্ট করলে পুরো শহরের বাসিন্দাদের জন্য সময় লাগবে তিন মাসেরও বেশি। এছাড়া দেশটিতে করোনা টিকা নেয়ার হারও কম। মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ নিয়েছে কোভিড-১৯ টিকা।
হাইব্রিড কোভিড ভাইরাসের মূল ধরনটির মতোই বয়স্ক এবং অন্যান্য অসুস্থতা আছে এমন মানুষদের ক্ষেত্রে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তবে ভ্যাকসিন না নেয়া জনগোষ্ঠীর ওপর বেশি প্রভাব বিস্তার করবে নতুন এই ধরন।
গত কয়েক সপ্তাহে ভিয়েতনামে করোনা সংক্রমণ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৬ হাজার ৭শ’র বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশিই চলতি বছরের এপ্রিলের পর থেকে শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪৭ জন।
হাইব্রিড কোভিড বা করোনার নতুন এই ধরনটি মূলত ভারত ও যুক্তরাজ্যের ধরনের সংমিশ্রণ। যা অন্যসব ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি শক্তিশালী ও বিপজ্জনক। এটি দ্রুত বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে।