ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি কিয়েভ পৌঁছেছেন। পোল্যান্ড থেকে একটি বিশেষ ট্রেনে করে আজ বৃহস্পতিবার তারা কিয়েভ পৌঁছান। ‘ঐক্যের বার্তার নিয়ে’ এই তিন রাষ্ট্রপ্রধান ইউক্রেন সফরে এসেছেন বলে জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাখোঁ। খবর বিবিসি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রার্থীর মর্যাদা দেয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছে ইউক্রেন। এছাড়া রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করতে আরো অস্ত্রের জন্য আবেদন করেছে দেশটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কিয়েভ সফরে আসেন এই তিন রাষ্ট্রপ্রধান।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু করার পর প্রথমবারের মতো তারা ইউক্রেন সফরে এলেন। রাষ্ট্রপ্রধানত্রয়ের ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করার কথা রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ জানান, ‘ইউরোপীয় ঐক্যের বার্তা’ নিয়ে তারা এই সফরে এসেছেন। তিনি বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। আমরা ইউক্রেনীয়দের কাছে ঐক্যের বার্তা পাঠাচ্ছি।
মাখোঁ জানান, রুশ আগ্রাসন প্রতিরোধে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের জন্য ইউক্রেনকে সমর্থন দেয়া এই সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য।
দেশটির রাজধানী কিয়েভে আক্রমণ থেকে রুশ বাহিনী পিছু হটে যাওয়ার পর অন্যান্য পশ্চিমা নেতারাও কিয়েভ সফরে গিয়েছিলেন ।
এর আগে ইউক্রেনকে পর্যাপ্ত অস্ত্র না পাঠানোর জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন জার্মান চ্যান্সেলন ওলাফ শোলৎজ। বার্লিনে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রিজ মেলনিক জানান, শোলৎজ দীর্ঘদিন ধরে ভারী অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন কিন্তু সেগুলো এখনো সরবরাহ করা হয়নি।
তবে শোলৎজ সেই সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করে জানান, জার্মানি ইউক্রেনের অন্যতম বৃহত্তম সামরিক ও আর্থিক সহায়তাকারী ছিল।