করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় এন্টিভাইরাল ওষুধ মলনুপিরাভির পরীক্ষায় প্রতিশ্রুতিশীল ফল দেখিয়েছে। ওষুধটি বর্তমানে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা পর্যায়ে রয়েছে। বলা হচ্ছে, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় এটি একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন ডব্লিউএসটিপি এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত এক বছর ধরে করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় বেশ কিছু ওষুধ তৈরি করা হয়েছে অথবা চিকিৎসায় পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তার সঙ্গে আশার আলো দেখাচ্ছে আরো একটি ওষুধ। তাহলো মলনুপিরাভির।
এ বিষয়ে আণুবীক্ষণিক মহামারি বিশেষজ্ঞ ড. জিল রবার্টস বলেছেন, এই ওষুধটি যেভাবে কাজ করছে তাতে এটা ভাইরাসের কপিকরণ বা প্রতিরূপ সৃষ্টি প্রক্রিয়াকে নষ্ট করে দেয়।
এ ছাড়া এই ওষুধটি সার্স এবং মার্স-এর মতো অন্য ভাইরাসের বিরুদ্ধেও আশানুরূপ ফল দেখিয়েছে। তিনি আরো বলেন, ইউরোপিয়ান বিড়ালসদৃশ ফেরেটসের ওপর গবেষণার সময় তার দেহে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তা হয়নি। কারণ, এ সময়ে ওই প্রাণিটিকে মলনুপিরাভির প্রয়োগ করা হয়েছিল। তাই তিনি মনে করেন যেসব রোগী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার এবং মৃত্যৃ কমিয়ে আনতে পারে এই ওষুধ। একই সঙ্গে তা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করে বলেই মনে হচ্ছে।
মলনুপিরাভির কখন ব্যবহারের জন্য বাজারে পর্যাপ্ত আকারে পাওয়া যাবে তার সুনির্দিষ্ট কোনো সময়ীমা নেই। তবে এটা বলা হচ্ছে যে, ভবিষ্যতে ভাইরাস এবং মহামারির বিরুদ্ধে চিকিৎসায় প্রতিশ্রুতিশীল ফল আনতে পারে মলনুপিরাভির। ড. রবার্টস বলেন, বর্তমানে এ ওষুধটির নেপথ্যে রয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মার্ক। এই ওষুধটি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন এফডিএর কাছে অনুমোদন চাওয়ার মতো পর্যাপ্ত পরীক্ষালব্ধ ফল আছে তাদের। তারা সেসব ডাটা এফডিএর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। এর আরো ইতিবাচক যে দিকগুলো ড. রবার্টস উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে রয়েছে- যেসব মানুষ টিকা নিতে চান না তারা এই ওষুধটি ব্যবহার করতে পারেন। যাদের হাতের নাগালে টিকা নেই তারা এটা ব্যবহার করতে পারেন। এটা একটি পিল বা বড়ি। করোনা ভাইরাসের অন্য চিকিৎসা বিশেষ করে টিকার মতো এটা শরীর ফুটো করে প্রবেশ করাতে হয় না।