পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে অন্তত চার জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনই চীনের নাগরিক। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) এ ঘটনায় আরও তিনজন গুরুতর আহত হন। হতাহতের মধ্যে বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
করাচির পুলিশ প্রধান বলেন, আমাদের ধারণা এটি আত্মঘাতী হামলা। একজন বোরকাপরা নারী একটি মাইক্রোবাসের কাছে গেলে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে। আমরা প্রমাণ সংগ্রহ করে ঘটনাটির তদন্ত করছি। কিন্তু প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে চীনা শিক্ষকদের হামলার টার্গেট করা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায়, বিস্ফোরণের পর একটি সাদা হায়েস ভ্যান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে গাড়িটিতে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা নাম প্রত্যাহার করে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সবুজ পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছে। ছোট ভাই পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল) নেতা শাহবাজ শরিফের সরকারের কারণে এসব সম্ভব হয়েছে।
পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম ডন ও জিও নিউজের খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নতুন পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর। পাসপোর্টটি জরুরি ভিত্তিতে ইস্যু করা হয়েছে। পাকিস্তানের অভিবাসন ও পাসপোর্ট দপ্তরে এখন দেশটিতে তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা এ প্রধানমন্ত্রীর পাসপোর্ট ‘সক্রিয়’ দেখাচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এর আগে কূটনৈতিক (লাল) পাসপোর্টের অধিকারী ছিলেন নওয়াজ শরিফ। তবে বিগত এক বছর ধরে তা নবায়ন নিয়ে জটিলতায় পড়েন তিনি। এ বিষয়ে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, নওয়াজ শরিফ যে সাধারণ পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন, সেটিই এখন তাকে দেয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সর্বোচ্চ নেতা নওয়াজ শরিফের ৫ বছর মেয়াদে কূটনৈতিক পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। ওই পাসপোর্ট ব্যবহার করে তিনি যুক্তরাজ্যে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যান।
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নওয়াজ শরিফ ২০১৯ সালের অক্টোবরে চিকিৎসার কারণে ৮ সপ্তাহের জামিন পান। এক মাস পর ৪ সপ্তাহের জন্য তাকে বিদেশ যেতে দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়। তবে সেসব অমান্য করে এখনও লন্ডনে অবস্থান করছেন তিনি।