প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃত্যু ও শনাক্ত কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজার ৫২৩ জন। একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৮৯৭ জন। শনিবার (১৯ জুন) সকাল ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত মোট ১৭ কোটি ৮৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬২ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৬ কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজার ২৫৮ জন। বিশ্বে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র এখনও সবার ওপরে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৬৯ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ১৬ হাজার ৯২০ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৮৬ লাখ ৭৫ হাজার ৯২৯ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৯৮ লাখ ২২ হাজার ৭৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৩ লাখ ৮৫ হাজার ১৬৭ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৯ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৮ লাখ ২ হাজার ১৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬২১ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৬১ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬৮ জন।তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স, পঞ্চম স্থানে তুরস্ক, ষষ্ঠ স্থানে রাশিয়া, সপ্তম যুক্তরাজ্য, অষ্টম ইতালি, নবম আর্জেন্টিনা এবং দশম স্থানে রয়েছে কলম্বিয়া।
সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩১তম। দেশে এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৯৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে মারা গেছেন ১৩ হাজার ৩৯৯ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৪২১ জন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ওই বছরেরই ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।