এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বজুড়ে চলছে করোনা মহামারি। প্রাণঘাতী এই রোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ পর্যন্ত যত মানুষ মারা গেছেন, তার মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৫ লাখ ১১ হাজার ৭৩৫ জনে। মহামারি শুরুর পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থ হয়ে ওঠাদের হালনাগাদ সংখ্যা প্রদানকারী ওয়েবসাইট করোনাভাইরাস ওয়ার্ল্ডোমিটার এই তথ্য জানিয়েছে।
করোনায় মোট মৃত্যুর হিসেবে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৬ লাখ ৬ হাজার ১৬৬ জন। এই তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে ব্রাজিল ও ভারত।
দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম দেশ ব্রাজিলে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন মোট ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৬২৩ জন এবং ভারতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার ২৬৩ জন করোনা রোগীর। এই তালিকায় শীর্ষে থাকা অন্যান্য দেশগুলো হলো – মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য, ইতালি, রাশিয়া এবং ফ্রান্স।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় বিশ্বে করোনায় মারা গেছেন ১২ হাজার ১৫০ জন রোগী এবং এ রোগে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৪০১ জন। এই সময়সীমার মধ্যে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ভারতে।
বুধবার ভারতে করোনায় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ১১ হাজার ৫৫৩ জন এবং মারা গেছেন ৩ হাজার ৮৪২ জন করোনা রোগী। দৈনিক আক্রান্ত ও মৃতের হিসাবে ভারতের পরেই আছে ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রাজিলে বুধবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯ হাজার ৪৫৯ জন এবং মারা গেছেন ২ হাজার ৩৯৯ জন। যুক্তরাষ্ট্রে এই দিন আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৪৯০ জন এবং মারা গেছেন ৫৯৪ জন।
এই তালিকায় চতুর্থ শীর্ষ স্থানে আছে দক্ষিণ আমেরিকার অপর দেশ আর্জেন্টিনা। বুধবার দেশটিতে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজার ৩৯৯ জন এবং এই দিন করোনায় সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৫৩২ জনের।
বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৬ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৫৫০ জন। বর্তমানে বিশ্বে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা মোট ১ কোটি ৪৮ লাখ ৫৫ হাজার ৪৩৬ জন। তাদের মধ্যে মধ্যে মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৬১১ জন এবং গুরুতর অবস্থায় আছেন ৯৪ লাখ ৮২৫ জন।
অবশ্য এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠার হারও কম নয়। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের মোট সংখ্যা বর্তমানে ১৫ কোটি ৭০ হাজার ৩৭৯ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।