মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর ৩২ পার্লামেন্ট সদস্য অর্থাৎ মোট এমপির ৫ শতাংশ প্রাণ হারিয়েছেন। দেশটির জাতীয় সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ তথ্য জানিয়েছেন।
আফ্রিকার অন্যান্য দেশের মতো কঙ্গোতেও করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। মহামারি এই ভাইরাস দেশটির শাসনব্যবস্থাতেও মারাত্মক হানা দিয়েছে। মারা গেছেন প্রখ্যাত এমপি ও প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ আইনজীবীরাও।
কঙ্গোর পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ-মার্ক কাবুন্দ বলেছেন, ‘সরকারিভাবে শুক্রবার পর্যন্ত আক্রান্ত ৩১ হাজার ও ৭৮০ জনের মৃত্যুর যে হিসাব দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ৩২ জন পার্লামেন্ট সদস্যও করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন।’
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশটির পার্লামেন্টে মাস্ক পরে যাওয়ার নিয়ম করা হলেও আইনপ্রণেতাদের অধিকাংশকেই মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে দেখা গেছে। শুধু তারা নন তাদের সঙ্গে অনেক মানুষজনও ছিলেন। এসব কারণেই তারা করোনায় আক্রান্ত হন ও প্রাণ হারান।
গত বছরের ডিসেম্বরে দেশটির প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেদেকি এবং তার পূর্বসূরি জোসেফ কাবিলার মধ্যে দ্বন্দ্ব ও বিরোধের জেরে সংসদ সদস্যরা পার্লামেন্টে একত্রিত হয়ে একে অপরকে চেয়ার ও বালতি ছোড়াছুড়ি করেন। তখন বেশিরভাগের মাস্ক মুখে নয় ছিল গলায়।
এদিকে দেশটিন বেশিরভাগ মানুষই টিকা নেওয়ার ব্যাপারে উদাসীন। অনেকের মনে টিকা নিয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় বাড়ছে। এপ্রিলের মাঝামাঝি টিকাদান কর্মসূচি শুরু হলেও দেশিটর ২০ হাজারও মানুষও টিকা নেয়নি। দেশটির মোট জনংখ্যা আট কোটির বেশি।