ভারতের উত্তরপ্রদেশের বারনসি শহরে এক সদ্যজাত শিশুর শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। যদিও সিজারিয়ান অপারেশনের আগে তার মায়ের করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। ঘটনাটি যথেষ্ট অবাক করেছে সবাইকে।
তবে বিষয়টি ততটাও অবাক করার মতো নয় স্যার সুন্দর লাল হসপিটালের চিকিৎসকদের কাছে। সেখানকার মেডিকেল সুপারিনটেন্ডেন্ট প্রফেসর কে কে গুপ্তা বৃহস্পতিবার বলেন, আরটি-পিসিআর পরীক্ষা পদ্ধতির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে এবং ওই মায়ের নমুনা আবার পরীক্ষা করা হবে।
সন্তান ধারণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই নিয়মিত ওই হাসপাতালের চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হতেন ওই নারী। গত মঙ্গলবার তাকে ভর্তি করা হয়।
সদ্যজাত শিশুটির বাবা বলেন, স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে গেলে কোভিড টেস্ট করাতে বলা হয়। টেস্টে নেগেটিভ এলেই চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি করান। বুধবার আমার স্ত্রী একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।
পরে হাসপাতালের কর্মীরা আমাকে জানান যে আমার সন্তান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
এ বিষয়ে প্রফেসর গুপ্তা বলেন, আরটি-পিসিআর পরীক্ষা ৭০ শতাংশ নির্ভুল। অর্থাৎ ৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে ভুল ফলাফল আসতে পারে। এ ধরনের ঘটনায় সন্দেহ দূর করতে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করা হয়। এক্ষেত্রেও সেটাই করা হবে।