করোনাভাইরাসের নিয়ন্ত্রণহীন সংক্রমণ মোকাবিলায় বাংলাদেশ থেকে রেমডেসিভির ওষুধ কিনতে চান ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এর জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় রসায়ন ও সার মন্ত্রী ডি ভি সদানন্দ গৌড়ার কাছে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। রোববার এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।
চিঠিতে মন্ত্রীর উদ্দেশে হেমন্ত বলেন, ঝাড়খণ্ডের পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনি তো জানেন। ভারতের অন্য অংশগুলোর মধ্যে এখানেও মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনার ব্যাপক সংক্রমণ ঘটছে, বিশেষ করে চলতি মাসের শুরুর থেকে। ১ এপ্রিল যেখানে শনাক্ত নতুন রোগী ছিল ২ হাজার ৮২৫ জন, ১৭ এপ্রিল তা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৪৫ জনে।
তিনি বলেন, আমরা ধরে নিয়েছিলাম ভ্যাকসিন এবং হার্ড ইমিউনিটির কারণে দ্বিতীয় ঢেউয়ে তেমন খারাপ কিছু হবে না। কিন্তু বর্তমানে রোগীদের কঠিন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে। করোনার চিকিৎসায় প্রোটোকল মানতে গেলে রেমডেসিভির গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে এই ওষুধের অভাব রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতে যেসব কোম্পানি রেমডেসিভির তৈরি করে, তারা চাহিদা মেটাতে পারছে না। সেই কারণে আন্তর্জাতিক বাজারের দিকে তাকাতে হচ্ছে। বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের কাছ থেকে ১০ লাখ ডলার মূল্য ৫০ হাজার পিস রেমডেসিভির কেনার ‘কোটেশন’ পাওয়া গেছে। বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ঝাড়খণ্ড সেই ওষুধ দ্রুত সংগ্রহ করতে চায়।
এ কারণে হেমন্ত সোরেনের অনুরোধ, গোটা পরিস্থিতি বিবেচনায় যেন তাদের দ্রুত বাংলাদেশ থেকে রেমডেসিভির আমদানির অনুমতি দেয়া হয়।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, গুরুতর উপসর্গধারী করোনা রোগীদের চিকিৎসায় রেমডেসিভির ভালো কাজ করে। তবে এর ঝুঁকি বিবেচনায় দ্বিমত রয়েছে অনেকেরই।