পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম) সদরদপ্তরে অভিযান চালিয়েছে। কর্মকর্তারা করাচির আজিজাবাদে এমকিউএমের প্রধান কার্যালয় এবং এমকিউএম প্রতিষ্ঠাতা আলতাফ হুসেনের পিতা-মাতার বাসভবন পুড়িয়ে ফেলেছে। এর বিরুদ্ধে কানাডার টরন্টোতে নাইন জিরো নামে পরিচিত একটি সংগঠন বিক্ষোভ করেছে।
এতে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক কমিটি, টরন্টো চ্যাপ্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
বিক্ষোভে এমকিউএমের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য শহীদ রাজা, সমন্বয় কমিটির উপদেষ্টা ডা. নাদিম এহসান, এমকিউএম কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আসিফ কাজী, এমকিউএম কানাডার যুগ্ম-কেন্দ্রীয় সংগঠক ইকবাল বাহাদুর ও সদস্যরা অংশ নেন।
বিক্ষোভকারীরা এমকিএমের প্রতিষ্ঠাতা নেতা আলতাফ হুসেন, সাবেক নিসার পানহওয়ারকে এবং এমকিএমের পতাকার ছবি নিয়ে বিক্ষোভ করে। তারা এমকিউএম নেতা আলতাফ হোসেনের বাসভবন এবং নাইন জিরো নামে পরিচিত এমকিউএম কেন্দ্রে আগুন দেওয়ার এবং কর্মীদের বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড বহন করে এবং আক্রমনকারীদের নিন্দা জানায়।
বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তানে এমকিউএম কর্মী ও মুহাজিরদের ওপর রাষ্ট্রীয় অত্যাচারের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে থাকে।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য শহীদ রাজা বলেন, নাইন জিরোতে আগুন দেওয়া ষড়যন্ত্রের একটি অংশ এবং এর জন্য সিন্ধু রেঞ্জার্স এবং সিন্ধুর পিপিপি সরকার দায়ী। তিনি নাইন জিরোর অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নজরে নিয়ে নিসার পানহওয়ারকে মুক্তির জন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
সমন্বয় কমিটির উপদেষ্টা ড. নাদিম এহসান তার মতামত ব্যক্ত করে বলেন, পাকিস্তানের বিচার বিভাগ, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের সকল বিচারপতিরা রাতে আদালত খুলে অন্য জাতির লোকদের ন্যায়বিচার প্রদান করেন কিন্তু মুহাজিরদের জন্য নয়।
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আসিফ কাজী বলেন, প্রধান বিচারপতি সিন্ধু হাইকোর্ট, ডিজি রেঞ্জার্স সিন্ধু এবং সমস্ত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উচিত নাইন জিরোর আগুনের তদন্ত করা এবং নিসার আহমেদ পানহওয়ারকে অবিলম্বে পুনরুদ্ধারের জন্য আদেশ জারি করা।
ইকবাল বাহাদুর যুগ্ম কেন্দ্রীয় সংগঠক বলেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, মুহাজির জাতি সব সময় তার প্রিয় নেতা আলতাফ হোসেনের সাথে আছে এবং আমরা সবাই নাইন জিরো পুড়িয়ে দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানাই।
পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে মুহাজিরদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে এবং ৯০ দশকের শেষভাগে তা আরও জোরদার করা হয়েছিল। মোটামুটি অনুমানে, ভুতুড়ে সামরিক বাহিনী এ পর্যন্ত মুহাজির জাতির ৩০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছেন।