প্রথম ভারতীয় হিসেবে কমওয়েলথ গেমসে স্বর্ণপদক জয়ী দৌড়বিদ মিলখা সিং মারা গেছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ৩০ দিনের মাথায় শুক্রবার (১৮ জুন) পিজিআইএমইআর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। মিলখা সিংয়ের ছেলে গল্ফার জীব মিলখা সিং ভারতীয় গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত পাঁচ দিন আগে মারা গেছেন মিলখা সিংয়ের স্ত্রী নির্মল কৌর। তিনিও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
মিলখা সিংয়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিসহ একাধিক রাজনৈতিক নেতা। এক টুইট বার্তায় মোদি লেখেন, ‘মিলখা সিংয়ের প্রয়াণে আমরা এক বিশাল ক্রীড়াবিদকে হারালাম, যিনি দেশের স্বপ্নকে ধরতে পেরেছিলেন। অগণিত ভারতীয়র হৃদয়ে বিশেষ স্থান অধিকার করেছিলেন তিনি। তার ব্যক্তিত্ব তাকে কোটি কোটি মানুষের মনে জায়গা করে দিয়েছিল। তার প্রয়াণে গভীর শোকাহত। আরেক টুইট বার্তায় মমতা লেখেন, ‘মিলখা সিংয়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ। তিনি একজন কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদ ছিলেন। তিনি সব সময় আমাদের হৃদয়ে থাকবেন। তার পরিবার, প্রিয়জন ও ভক্তদের সমবেদনা জানাই।
১৯৫৮ সালের কমনওয়েলথ গেমস চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ‘উড়ন্ত শিখ’ মিলখা। ১৯৬০ সালে রোম অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। সেখানে চতুর্থ হয়ে অল্পের জন্য পদক পাননি। এশিয়ান গেমসেও মিলখার চারটি সোনা আছে। ১৯৫৯ সালে তাকে পদ্মশ্রী সম্মান দেয়া হয়।গত ২০ মে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন মিলখা সিং। বাড়ির এক পরিচারকের মাধ্যমে সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত হন তিনি। এর চারদিন পর ২৪ মে তাকে মোহালির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩০ মে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। কিন্তু ৩ জুন শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় পিজিআইএমইআরের নেহরু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) তার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। এরপর কোভিড আইসিইউ থেকে তাকে সাধারণ আইসিইউতে স্থনান্তর করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের যাবতীয় চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন তিনি।