Image default
আন্তর্জাতিক

কোটি টাকা বন্টন হবে কিভাবে বিল-মেলিন্ডার ১১,০২,৪০০ কোটি টাকা?

প্রায় এগার লাখ দুই হাজার চারশত কোটি টাকার মামলা। ডলারে যার পরিমাণ প্রায় ১৩০০০ কোটি ডলার। এই সম্পদ নিয়ে মাইক্রোফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বিশ্বের শীর্ষ ধনীর ৪ নম্বর অবস্থানে। সোমবার আকস্মিকভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন বিল গেটস ও তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস। এ মর্মে আদালতে আবেদন জমা দিয়েছেন। এখন এই অর্থ তাদের মধ্যে যদি অর্ধেক-অর্ধেক বা ৫০-৫০ হিসেবে ভাগ হয় তাহলে শীর্ষ ধনীর চার নম্বর অবস্থান থেকে নেমে ১১ নম্বরে চলে যাবেন বিল গেটস। ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসেবে বিল গেটসের নিট সম্পদ আছে ১২৪০০ কোটি ডলারের। বিচ্ছেদের ফলে এই সম্পদ মেলিন্ডার সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে।

ফোর্বস ম্যাগাজিনের মতে, বর্তমানে শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় এক নম্বর থেকে যথাক্রমে দশ নম্বর পর্যন্ত রয়েছেন জেফ বেজোস, ইলন মাস্ক, বার্নার্ড আরনল্ড অ্যান্ড ফ্যামিলি, বিল গেটস, মার্ক জাকারবার্গ, ওয়ারেন বাফেট, ল্যারি ইলিসেন, ল্যারি পেজ, সের্গেই ব্রাইন এবং মুকেশ আম্বানি। জেফ বেজোসের অর্থের পরিমাণ ১৭৭০০ কোটি ডলার। ইলন মাস্কের অর্থ আছে ১৫১০০ কোটি ডলার। বার্নার্ড আরনল্ড অ্যান্ড ফ্যামিলির আছে ১৫০০০ কোটি ডলারের সম্পদ। বিল গেটসের আছে ১২৪০০ কোটি ডলারের সম্পদ। এরপরেই রয়েছেন ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। তার সম্পদের পরিমাণ ৯৭০০ কোটি ডলার। ওয়ারেন বাফেটের আছে ৯৬০০ কোটি ডলারের সম্পদ। ল্যারি ইলিসনের ৯৩০০ কোটি ডলার। ল্যারি পেজের ৯১৫০ কোটি ডলার। সের্গেই ব্রাইনের ৮৯০০ কোটি ডলার এবং মুকেশ আম্বানির আছে ৮৪৫০ কোটি ডলার।

এর আগে ২০১৯ সালে লরাঁ সানচেজ নামের এক যুবতীর প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বোজেস স্ত্রী ম্যাকেঞ্জির সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটান। তার পরে সবচেয়ে বড় অংকের সম্পদের বন্টন হতে যাচ্ছে বিল এবং মেলিন্ডা গেটসের বিচ্ছেদে। তাদের রয়েছে বেশ কিছু রিয়েল এস্টেট। আছে ওয়াশিংটনে নিজস্ব মূল বাড়ি। সম্পদ আছে ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, উইওমিং এবং ম্যাচাচুসেটসে। উপরন্তু আছে একটি ব্যক্তিগত জেট বিমান। আছে বিস্ময়কর সব আর্টের সংগ্রহ। দ্রুতগামী একগুচ্ছ গাড়ির মালিকও বিল গেটস। মাইক্রোসফটের শতকরা ১.৩৭ ভাগ শেয়ারের মালিক বিল গেটস নিজে। সিএনবিসির মতে, এই অর্থের পরিমাণ কমপক্ষে ২৬০০ কোটি ডলার। ২০২০ সালের মার্চে তিনি মাইক্রোসফটের পরিচালনা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। তা সত্ত্বেও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলার একজন প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজের গেটস ভেঞ্চারের মাধ্যমেও তিনি অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। অন্যদিকে ২০১৫ সালে নতুন একটি সংগঠন দাঁড় করেছেন মেলিন্ডা। এর নাম পাইভোটাল ভেঞ্চার। এটি একটি স্বতন্ত্র অফিস।

২০০০ সালে এই দম্পতি প্রতিষ্ঠা করেন দ্য গেটস ফাউন্ডেশন। এর উদ্দেশ্য বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র্য কিছু মানুষকে সাহায্য করা। এর উদ্দেশ্যের মধ্যে আছে পোলিও নির্মূল, ম্যালেরিয়ার বিস্তার কমানো, এইচআইভি/এইডস কমিয়ে আনা, স্যানিটেশনে বিনিয়োগ করা। বিল গেটস এবং মেলিন্ডা নিজেদের ব্যক্তিগত বিপুল পরিমাণ সম্পদ ঢেলেছেন এই ফাউন্ডেশনে। এর মধ্য দিয়ে তারা গেটস ফাউন্ডেশনকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জনসেবামূলক সংগঠনের অন্যতম হিসেবে দাঁড় করিয়ে ফেলেন। ১৯৯৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই ফাউন্ডেশনে কমপক্ষে ৩৬০০ কোটি ডলার অনুদান দিয়েছেন তারা। ২০১০ সালে তারা ওয়ারেন বাফেটের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠা করেন দ্য গিভিং প্লেজ। প্রতিশ্রুতি দেন তাদের সম্পদের বড় একটি অংশ এতে দান করবেন। এসব দেয়া-টেয়া বাদেও তাদের মধ্যে বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকবে যা তাদেরকে ভাগ করে নিতে হবে।

সূত্র: মানবজমিন

Related posts

খারকিভের ৩০ বসতি পুনর্দখলের দাবি ইউক্রেনের

News Desk

সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে গভীর শোক নরেন্দ্র মোদির

News Desk

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের প্রশ্নে যে উত্তর দিলেন পুতিন

News Desk

Leave a Comment