দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের আসর কোপা আমেরিকা শুরুর আর বাকি ১ দিন। শেষ সময়ে অনেকটা তড়িঘড়ি করেই ব্রাজিলের কাছে গেছে আয়োজনের দায়িত্ব। কিন্তু দেশটির করোনা পরিস্থিতি খুব একটা সুখকর নয়। যে কারণে দেশটিতে কোপা আমেরিকা হোক তা চায় না বেশিরভাগ নাগরিক। সম্প্রতি একটি জরিপে দেখা গেছে, দেশের দুই তৃতীয়াংশ নাগরিক কোপা আমেরিকা আয়োজনের বিরুদ্ধে।
প্রতিযোগিতার ১০৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এবার দুই দেশ মিলে আয়োজন করার কথা টুর্নামেন্টটি। কিন্তু শেষ সময়ে এসে রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হয় কলম্বিয়ায়, করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে আর্জেন্টিনায়। ফলে কোপা আমেরিকা আয়োজন নিয়েই সৃষ্টি হয় ধোঁয়াশা। শেষ সময়ে এসে আয়োজনের দায়িত্ব গছিয়ে দেওয়া হয় ব্রাজিলের হাতে।
তবে ব্রাজিলের করোনা পরিস্থিতি যে খুব সুখকর, বিষয়টা তেমনও নয়। বরং তাদের করোনা পরিস্থিতি আর্জেন্টিনার চেয়েও নাজেহাল। এ নিজে অসন্তোষ ছিল খোদ ব্রাজিল দলেই। ব্রাজিলের তৎকালীন অধিনায়ক ক্যাসেমিরো তো সংবাদ সম্মেলনই বয়কট করে বসেছিলেন। সমালোচনাও ছিল বেশ।
তবে শেষমেশ তারা সম্মতি দিয়ে জানিয়েছেন, কোপা আমেরিকাকে না বলেছেন তারা, জাতীয় দলের দায়িত্বকে নয়। দেশটির রাষ্ট্রপতি জাইর বলসোনেরোর অবস্থান ছিল অবশ্য টুর্নামেন্ট আয়োজনের পক্ষেই, বরং দেশের করোনা পরিস্থিতিতেও লকডাউন প্রথার বিরোধী ছিলেন তিনি।
শেষমেশ ব্রাজিলই আয়োজন করছে এবারের কোপা আমেরিকা। যার ঘোর বিরোধিতা করেছেন দেশটির স্বাস্থ্য ও মহামারি বিশেষজ্ঞরা। দেশটির জনগনও এর ঘোর বিরোধিতা করেছেন। সম্প্রতি এক্সপি-ইপেসপের এক জরিপে উঠে এসেছে ৬৪ শতাংশ ব্রাজিলিয়ান এর বিরোধি, আর ২৯ শতাংশের রায় গেছে কোপা আমেরিকা আয়োজনের পক্ষে।
এর পরও ব্রাজিলেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে কোপা আমেরিকা। আগামীকাল রাত তিনটায় ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠে নামবে স্বাগতিক ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।