অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর দেশগুলোকে করোনা টিকার ডোজ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকল্প কোভ্যাক্স থেকে দ্বিতীয় দফায় ১ লাখ করোনা টিকার ডোজ গ্রহণ করেছে পাকিস্তান। শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির প্রধান জাতীয় দৈনিক ডন।
শনিবার দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদের বিমানবন্দরে কোভ্যাক্স প্রকল্পের ১ লাখ করোনা টিকার ডোজ পৌঁছেছে। এই টিকার ডোজগুলো ফাইজার ও বায়োএনটেকের। পাকিস্তান ইউনিসেফের কর্মকর্তারা এই ডোজগুলো গ্রহণ করেছেন।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কোভ্যাক্সের টিকার চালান পৌঁছাল পাকিস্তানে। এর আগে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশটিতে প্রথমবারের মতো টিকার চালান পৌঁছেছিল। সেই চালানে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৪০০ ডোজ দেশটিতে পাঠিয়েছিল ডব্লিউএইচও।
পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোভ্যাক্স থেকে মোট ১ কোটি ৭২ লাখ টিকার ডোজ পাওয়ার কথা রয়েছে দেশটির। নিকট ভবিষ্যতেই কোভ্যাক্স থেকে আরও ১২ লাখ ৩৬ হাজার ডোজ করোনা টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আরও জানান, এ পর্যন্ত পাঁচটি করোনা টিকার অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। এগুলো হলো- সিনোফার্ম, ক্যানসিনো, সিনোভ্যাক, স্পুটনিক ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
এছাড়া চলতি সপ্তাহ থেকে ইসলামাবাদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ এর অধীনে চীনের এক ডোজের করোনা টিকা ক্যানিসিনোর উৎপাদন শুরু হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
এ বিষয়ক এক টুইটবার্তায় দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, টিকার উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হলে প্রতি মাসে ৩০ লাখ ডোজ ক্যানসিনোর টিকা উৎপাদন করতে পারবে এনআইএইচ। এর ফলে বাইরের দেশ থেকে আর টিকা আমদানি করার প্রয়োজন পড়বে না দেশটির।