ছবি: বিবিসি
একের পরে এক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কেঁপে উঠছে কোরিয়ার পুরো সমুদ্র অঞ্চল। দীর্ঘ কয়েক দশক পর প্রথম উত্তর কোরিয়ার ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র দুই দেশের সমুদ্রসীমা অতিক্রম করেছে। পাল্টা জবাবও দেয় সিউল।
অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, উত্তর কোরিয়ার ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রথমবারের মতো বিরোধপূর্ণ সমুদ্রসীমার দক্ষিণে এসে পড়ে। এলাকাটি দক্ষিণ কোরিয়ার আঞ্চলিক জলসীমার কাছাকাছি অবস্থিত। স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি দক্ষিণ কোরিয়ার উলেংডোর দ্বীপের কাছে পড়ে। পালটা জবাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ২ দেশের সমুদ্রসীমার কাছাকাছি এফ-১৫কে যুদ্ধবিমান থেকে ৩টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে দ. কোরিয়া। খবর-বিবিসির।
সিউলের সামরিক বাহিনী বলেছে, ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের শেষে উপদ্বীপ ভাগ হওয়ার পর এই প্রথমবার উত্তর কোরিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণের আঞ্চলিক জলসীমার এত কাছাকাছি অবতরণ করেছিল।
প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ নিতান্তই একটি উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ, উত্তর কোরিয়ার কার্যকর আঞ্চলিক আক্রমণ।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (জেসিএস) জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া তাদের পূর্ব উপকূলের ওয়ানসান থেকে সাগরে তিনটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে, যার মধ্যে একটি ক্ষেপণাস্ত্র এমন জায়গায় আঘাত হেনেছে যেটি ২ কোরিয়ার অনানুষ্ঠানিক সমুদ্রসীমা হিসাবে বিবেচিত। পরে জেসিএস জানায়, উত্তর কোরিয়ার পূর্ব ও পশ্চিম উপকূল থেকে বিভিন্ন ধরনের ২৩টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।
এমকে