ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, খেরসন থেকে রাশিয়ান বাহিনী পিছু হটার সময় তাদের সংঘটিত চারশ’র বেশি যুদ্ধাপরাধ উন্মোচন করেছে তদন্তকারীরা। তাতে বেসামরিক নাগরিক ও সৈন্যদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় তিরিশ হাজার রাশিয়ান দখলদার সৈন্য পিছু হঠার পর কর্মকর্তারা খেরসনের প্রশাসন পরিচালনায় ফিরে এসেছেন। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ খেরসনে কারফিউ জারি করেছে এবং খেরসনের ভেতরে ও বাইরে যাতায়াতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
খেরসনের গভর্নর ইয়ারোস্লাভ ইয়ানুশেভিচ নাগরিকদের জনাকীর্ণ স্থান এড়িয়ে চলতে বলেছেন এবং সোমবার শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে দূরে থাকতে বলেছেন কারণ সামরিক বাহিনী সেখানে মাইন চিহ্নিত করে তা নিষ্ক্রিয় করার জন্য কাজ করবে। সেখানে বিকেল পাঁচটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত কারফিউ বলবত থাকবে।
এদিকে, ইউক্রেনীয়রা এটিকে একটি বড় জাতীয় বিজয় এবং ক্রেমলিনের জন্য বড় অপমান হিসাবে দেখছে। যাকে তারা মনে করছে মার্চ মাসে কিয়েভের শহরতলী থেকে রাশিয়ার প্রত্যাহারের সমতুল্য। কিছু রাশিয়ান সৈন্য ছদ্মবেশে থেকে যেতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়ার দখলদারিত্বের সময় তাদের সাথে আঁতাতকারীদের এখন বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
এক ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, খেরসন অঞ্চলে রাশিয়ান সেনাবাহিনী আমাদের দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো একই নৃশংসতার চিহ্ন রেখে গেছে, যেসব জায়গায় তারা প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিল। আমরা প্রত্যেক খুনিকে খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনব কোনও সন্দেহ নেই।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর থেকে রাশিয়ার দখলে থাকা একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী ছিল খেরসন। সেপ্টেম্বরে ক্রেমলিনে এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আরও তিনটি অঞ্চলসহ খেরসনকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার ইউক্রেনের সেনারা খেরসন শহর মুক্ত করে। ইউক্রেনের পতাকা বহনকারী জনতার ভিড় কিয়েভের সৈন্যদের আলিঙ্গন ও চুম্বন দিয়ে স্বাগত জানায়।