Image default
আন্তর্জাতিক

খেরসন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের তাৎপর্য কী

যুদ্ধ শুরুর আগে খেরসন শহরের বাসিন্দার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৮০ হাজার। চলমান আক্রমণে রুশ বাহিনীর দখল করা একমাত্র প্রাদেশিক রাজধানী এটি। ২৪ ফেব্রুয়ারি আক্রমণ শুরুর দিনেই খেরসন শহর ও আশেপাশের এলাকা রাশিয়ার দখলে যায়।

রাশিয়ার কাছে শহরটির দখল চলে যাওয়া ইউক্রেনের জন্য ছিল বড় ধরনের ব্যর্থতা। কারণ ডিনিপার নদীর তীরে এবং কৃষ্ণসাগরের মুখগহবরের কাছে অবস্থিত। এটি একটি শিল্পকেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত। রাশিয়া দখলে নেওয়ার পর থেকেই ইউক্রেনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা রুশ সেনাদের চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছে। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি মস্কোর মনোনীত কর্মকর্তাদের গুপ্তহত্যাও এর মধ্যে রয়েছে।

খেরসন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের তাৎপর্য কী

খেরসনের অবস্থান একটি পয়েন্টে রয়েছে যেখান রাশিয়া ডিনিপার নদী থেকে ক্রিমিয়াগামী বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারবে ইউক্রেন। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে রাশিয়া নিজেদের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার পর গুরুত্বপূর্ণ এই সরবরাহ বন্ধ করেছিল কিয়েভ। আক্রমণের একটা কারণ হিসেবে এই সরবরাহ জারি রাখার কথা বলেছেন পুতিনও।

এসব হামলার ফলে খেরসনের রুশ সেনাদের সরবরাহ সংযোগ বিঘ্নিত হয়। ডিনিপার নদীর পশ্চিম তীরে মোতায়েনকৃত রুশ সেনারা ঘেরাওয়ের ঝুঁকিতে পড়ে। ৮ অক্টোবর কৌশলগত কার্চ সেতুতে বিস্ফোরণের পর এই সরবরাহ ঘাটতি আরও তীব্র হয়।

Related posts

মোদির সাথে কাজ করতে উদগ্রীব ইসরাইলের নতুন প্রধানমন্ত্রী

News Desk

এস-৪০০ ক্রয়: যুক্তরাষ্ট্রের আইনে ভারতকে বিশেষ ছাড়

News Desk

ইংল্যান্ডে প্রাপ্তবয়স্কদের ৮০ শতাংশের মধ্যেই এন্টিবডি শনাক্ত

News Desk

Leave a Comment