গত তিন দিন ধরে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় যশের জন্ম হয়েছে। বর্তমানে এটি একই এলাকায় কার্যত স্থির রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় শক্তি বাড়িয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে যশ। এরপর উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার সকালে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে এবং বাংলাদেশের খুলনায় আঘাত হানতে পারে এটি।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, দেশের সমুদ্রবন্দর সমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তার রাজ্যবাসীকে সতর্ক করেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, এবার যশের আঘাতে ২০টি জেলা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মৎস্যজীবীদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, আম্পানের থেকেও বড় হতে চলেছে যশ, এমনই খবর রয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নেবেন না। মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে যাবেন না।
মমতা ব্যানার্জি জানান, ঘূর্ণিঝড় যশ মোকাবিলায় ভারতের উড়িষ্যা ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যকে ৬০০ কোটি টাকা করে ও পশ্চিমবঙ্গকে ৪০০ কোটি টাকা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার রাজ্য উড়িষ্যা ও অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে বড় হওয়া সত্ত্বেও কম আর্থিক বরাদ্দ পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় যশ শক্তি সঞ্চয় করে বুধবার সন্ধ্যার আগেই পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও উড়িষ্যার পরাদ্বীপে আছড়ে পড়তে পারে।