করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীনের ক্যানসিনো CanSino বায়োলজিকসের তৈরি টিকা উৎপাদন করবে পাকিস্তান। আর তা দিয়েই নিজের দেশের চাহিদা পূরণ করবে পাকিস্তান। সোমবার পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়সাল সুলতান এই তথ্য জানিয়েছেন।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় সহযোগিতার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, চীন এখনো পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান সহযোগী। তারা পাকিস্তানকে চিকিৎসা সরঞ্জাম, করোনা টিকা দিয়ে কঠিন সময়ে সাহায্য করেছে। এমনকি টিকা উৎপাদনের প্রযুক্তিও সরবরাহ করেছে।পাকিস্তানের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক আশা প্রকাশ করেছেন, ক্যানসিনো টিকা উৎপাদন পাকিস্তানকে ধীরে ধীরে নিজস্ব চাহিদা পূরণ করে সাবলম্বী করে তুলবে।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে ফয়সাল সুলতান আরও জানান, পাকিস্তানে টিকাগ্রহণের যোগ্য ১০ কোটি মানুষের মধ্যে সাত কোটি মানুষকে চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই করোনা টিকা দেয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পাকিস্তানে দৈনিক দেড় লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই সংখ্যা শিগগিরই তিন লক্ষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সুলতান জানান, প্রায় ২২ কোটি জনসংখ্যার দেশ পাকিস্তানে ইতিমধ্যে ২৫ লক্ষ মানুষ করোনার টিকা পেয়েছে। এই মহামারি মোকাবিলায় টিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও সংক্রমণ রোধে সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন ইমরান সরকারের এ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।পাকিস্তানের সরকারি হিসাব অনুসারে, গত রবিবার পর্যন্ত ৮ লক্ষ ৩৪ হাজার ১৪৬ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছে ৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৪৪ জন।
করোনা প্রতিরোধে চীনের দুটি টিকাকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হবে কি না, এ বিষয় চলতি সপ্তাহেই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা ম্যারিয়াংগেলা সিমাও বলেন, সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক টিকার ওপর ডব্লিউএইচও’র কারিগরি পরামর্শকরা কাজ করছেন। তাদের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত আসার আগে কিছু চূড়ান্ত কার্যক্রম বাকি আছে।প্রথমে সিনোফার্ম নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, পরে আসবে সিনোভ্যাক। কিছু দেশ তাদের টিকা কার্যক্রম শুরু করতে এই সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে।