বিশ্বজুড়ে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তারকারী বহুমুখী প্রকল্প ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’কে (বিআরআই) টেক্কা দিতে শতাব্দীর সর্ববৃহৎ ওই প্রকল্পের বিকল্প অবকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি-৭।
যুক্তরাজ্যের কর্নওয়ালে বৈঠকরত সর্ববৃহৎ সাতটি অর্থনীতির দেশের নেতারা বিগত ৪০ বছরে বিশ্বে চীনের আগ্রাসী অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে ওই পরিকল্পনার ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, চীনের একক আধিপত্য ঠেকাতে জোট থেকে ঘোষিত ‘বিল্ড ব্যাক বেটার ওয়ার্ল্ড’ (বি৩ডব্লিউ) ইনিশিয়েটিভ নামের এই পরিকল্পনায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ২০৩৫ সালের মধ্যে ৪০ ট্রিলিয়ন ডলারের অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা করা হবে।
তবে বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘এটা শুধু চীনকে মোকাবিলা বা টেক্কা দেওয়ার বিষয় নয়। তবে আমরা এখনো এমন কোন ইতিবাচক বিকল্প তুলে ধরতে পারিনি; যা আমাদের মূল্যবোধ, অবস্থান ও ব্যবসায়িক নীতিকে প্রতিফলিত করবে।’
বিআরআই হচ্ছে অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিনিয়োগের জন্য চীন সরকারের বৈশ্বিক উন্নয়নকৌশল। যেখানে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা ও আমেরিকার ১৫২টি দেশ-সংস্থা যুক্ত। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ২০১৩ সালে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পের ঘোষণা দেন। চীনের উচ্চাভিলাসী বিআরআই প্রকল্পের আওতায় চীন অনেক দেশের রেলপথ, বন্দর, মহাসড়ক এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজে সহায়তা করবে। বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশ চীনের এই বৃহৎ প্রকল্পে সই করেছে। অনেকে একে ঋণের ফাঁদও বলে থাকেন।
অবশ্য সমালোচকদের মতে, জিনপিংয়ের বিআরআই প্রকল্প হলো প্রাচীন বাণিজ্য রুট ‘সিল্ক রোডের’ আধুনিক সংস্করণ। যার মাধ্যমে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকা ছাড়াও অন্যান্য স্থানে দেশে উৎপাদিত বিপুল পণ্যের সঙ্গে কমিউনিস্ট ভাবধারা ছড়িয়ে দিতে চায় চীন।