রোমানিয়ার সঙ্গে চীন ও টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের ৫জি নেটওয়ার্ক উন্নয়নে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে একটি বিল অনুমোদন করেছে রোমানিয়ার সরকার। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিলটির অনুমোদন দেওয়া হয়। আইটি ও এমপিসি এবং জাতীয় সুরক্ষা কমিটির এক সদস্য বার্তা সংস্থা রয়টার্সে এ তথ্য জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘চীন ও ওয়াশিংটন এবং হুয়াওয়ের ইউরোপীয় প্রতিদ্বন্দ্বী এরিকসন এবং নোকিয়ার মধ্যে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ইউরোপ স্নায়ুযুদ্ধ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
আইটি ও এমপিসি এবং জাতীয় সুরক্ষা কমিটির সদস্য পাভেল পোপেস্কু বলেন, ‘২০১৯ সালে ওয়াশিংটনে রোমানিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি স্মারকলিপি স্বাক্ষরিত হয়। রোমানিয়ার সরকার বৃহস্পতিবার চীনের বিপক্ষে মার্কিন সমর্থিত বিলটি অনুমোদন দিয়েছে। এতে রোমানিয়ায় ৫জি প্রযুক্তির সঙ্গে চীন ও তার কোম্পানি হুয়াওয়ের অংশীদারিত্বের পথ রুদ্ধ হয়ে গেল।’
পাভেল পোপেস্কু বলেন, ‘স্মারকলিপির আওতায় দুই দেশের সরকার ২০১৯ সালের আগস্টে বলেছিল ৫জি প্রযুক্তির ঝুঁকি মোকাবিলায় সুরক্ষা পদ্ধতির অংশ হিসেবে ৫জি সরবরাহকারীদের সতর্কতা ও সম্পূর্ণ মূল্যায়ন জরুরি।’
২০০৪ সালে ন্যাটোতে যোগদানের আগেই রোমানিয়া ওয়াশিংটনের শক্তিশালী মিত্র ছিল। ওয়াশিংটন হুয়াওয়েকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির বৈশ্বিক নজরদারি যন্ত্রের একটি বাহিনী হিসেবেই দেখেছে।
মোবাইল-টেলিফোনের ক্ষেত্রে পরবর্তী বিপ্লব হিসেবে ধরা হয় ফাইভ-জি নেটওয়ার্ককে। হুয়াওয়ে এই ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক বসানোর জন্য অনেক দেশের সঙ্গেই আলোচনা চালাচ্ছে। এই নতুন নেটওয়ার্ক এত দ্রুতগতির হবে যে এটি ব্যবহার করা হবে বহু নতুন কাজে। যেমন চালকবিহীন গাড়ি চালানোর কাজে।
এখন হুয়াওয়ে যদি কোনো দেশের ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করে, চীন ওই দেশের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাতে পারবে বলে দাবি করছে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো। তারা চাইলে এই ফাইভ-জি নেটওয়ার্কে আদান-প্রদান করা বার্তা পড়তে পারবে, চাইলে নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিতে পারবে বা সেখানে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারবে। তবে গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ পশ্চিমাদেশগুলো করেছে, তা বরাবরই নাকচ করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।