কানাডায় ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সের কিশোরদের ব্যবহারের জন্য ফাইজারের ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বুধবার ফেডারেল স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই কথা জানিয়েছে। মার্কিন ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একই ধরণের পদক্ষেপ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে মার্কিন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
কানাডার ফেডারাল স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সিনিয়র উপদেষ্টা সুপ্রিয়া শর্মা বলেছেন, “জার্মান সংস্থা বায়োএনটেকের সঙ্গে মিলিত হয়ে ফাইজারের ভ্যাকসিনটি উৎপাদিত হয়েছে। যা অল্প বয়সীদের ক্ষেত্রে নিরাপদ ও কার্যকর। আমার অবশেষে আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।”
পৃথকভাবে, কানাডার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, অস্ট্রাজেনেকা পিএলসির কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের পরে রক্ত জমাট বেঁধে কানাডায় তৃতীয় মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। মৃত ওই ব্যাক্তির বয়স ৬০ এর উপরে। তিনি আটলান্টিক প্রদেশ নিউ ব্রান্সউইক শহরে থাকতেন।নিউ ব্রান্সউইকের প্রধান মেডিকেল অফিসার জেনিফার রাসেল বলেছেন, ওই প্রদেশটি অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ব্যবহার চলছে। মঙ্গলবার রক্ত জমাট বাঁধার কারণে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং ২৭ এপ্রিল কুইবেক প্রদেশে একজনের মৃত্যু হয়েছিল।
অপরদিকে, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে ফাইজার। ওষুধ-সহ চিকিৎসা সংক্রান্ত ৭০ মিলিয়ন ডলারের সরঞ্জাম দান করেছে টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাটি। তবে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে রীতিমতো বিধ্বস্ত ভারতে অবশ্য এখনও ফাইজার এবং বায়োএনটেকের করোনা টিকা অনুমোদন পায়নি। তা নিয়ে আক্ষেপ করেছেন ফাইজারের চেয়ারম্যান এবং সিইও অ্যালবার্ট বৌরলা।
এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, ‘ফাইজার ভালোমতো জানে যে এই মহামারী শেষের জন্য টিকার জোগান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতে আমার টিকার নথিভুক্ত হয়নি। যদিও কয়েক মাস আগেই আমরা আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলাম। ভারতে ফাইজার এবং বায়োএনটেকের টিকা যাতে ব্যবহার করা হয়, সেজন্য আমাদের টিকার দ্রুত অনুমোদন দেওয়ার জন্য আপাতত সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি।’
ভারতে এইমুহূর্তে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের ব্যবহার চলেছে। রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি-কে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগেই হায়দরাবাদের বায়োলজিক্যাল সংস্থার হাতে এই ভ্যাকসিনটি এসে পৌঁছেছে ।