Image default
আন্তর্জাতিক

জঙ্গি বিমান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে যে হুশিয়ারি দিলেন এরদোগান

যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ককে এফ-১৬ ফাইটার জঙ্গি বিমান না দিলে আরও অনেক দেশ জঙ্গি বিমান দেওয়ার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন। খবর মিডলইস্ট মনিটর।

তিনি বলেন, এর আগে ওয়াশিংটন আঙ্কারাকে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করতে অস্বীকার করেছিল। তখন তার দেশ রাশিয়া থেকে এস-৪০০ সিস্টেম কেনার মাধ্যমে চাহিদা পূরণ করেছে।

তেমনিভাবে যদি যুক্তরাষ্ট্র আঙ্কারার এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের চাহিদা পূরণ না করে, তাহলে অনেক দেশই কিন্তু তা পূরণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর তুরস্কের মানবাধিকার ও বৈদেশিক নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্কের সম্পর্ক শীতল হয়ে এসেছিল।

তবে গেল ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বাইডেন প্রশাসন তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন করে। গেল সাত মাসে তুরস্ক তার নিরপেক্ষ অবস্থায় বজায় রেখে যুদ্ধরত দুই পক্ষের মধ্যে নানা ধরনের সমঝোতার চেষ্টা চালিয়েছে।

বেশকিছু প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও গত জুলাইয়ে দুই দেশের মধ্যে শস্য রপ্তানি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পেছনে বড় অবদান ছিল তুরস্ক তথা দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের। ফলে মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একরকম বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্র।

গত জুনে মাদ্রিদে ন্যাটো সম্মেলনের সাইড লাইনে তুর্কি প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন কংগ্রেসে তুরস্কের কাছে এফ-১৬ বিক্রির অনুমোদন চান। সে সময় বাইডেন বলেছিলেন, আমি আগেই বলেছিলাম, তাদের কাছে এফ-১৬ জঙ্গি বিমান বিক্রি করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, আশা করি কংগ্রেস এতে অনুমোদন দেবে। কিন্তু মার্কিন কংগ্রেস অনুমোদন দেয়নি। কংগ্রেসের আইনপ্রণেতাদের প্রভাবশালী একটি অংশের আশঙ্কা, মার্কিন যুদ্ধবিমান পেলে তুরস্ক সেগুলো গ্রিসের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে।

Related posts

ইরানে হিজাববিরোধী বিক্ষোভে নিহত ৭৬

News Desk

স্নোডেনকে রাশিয়ার নাগরিকত্ব দিলেন পুতিন

News Desk

একতরফা যেকোনো অবৈধ নিষেধাজ্ঞার বিরোধী চীন

News Desk

Leave a Comment