ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট দুই বছরের মধ্যে চারটি নির্বাচনের মাধ্যমে বিভক্ত দেশকে একত্রিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, তার সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের মতো বিষয়গুলোকে তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার করবেন।
ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী জামিনা পার্টির নাফতালি বেনেট জোট গঠনের শর্ত হিসেবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এরপর পরবর্তী দুই বছরের জন্য তিনি মধ্যপন্থী ইয়েস আতিদ পার্টির জাইর লাপিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।
নাফতালি বেনেট দেশটির সংসদে মাত্র ১ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। তার পক্ষে ৬০ এবং বিপক্ষে ৫৯ ভোট পড়ে। তবে তাকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ডান, বাম ও মধ্যমপন্থী, সব ধারার দল নিয়ে গঠিত জোটকে টিকিয়ে রাখতে হবে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ১২ বছর শাসন করার পর ক্ষমতা হারালেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ডানপন্থী লিকুদ পার্টির প্রধান হিসেবে বিরোধী দলীয় নেতা হবেন। রোববার সংসদে বিতর্ক চলাকালে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা আবার ফিরে আসব।’ দেশটির নবগঠিত জোট সরকার সংসদের অনুমোদন পাওয়ার পর তার বিদায় ঘটল।
৪৯ বছর বয়সী বেনেট তার বক্তব্যে বলেন, ‘এটি শোকের দিন নয়। গণতন্ত্রে সরকার পরিবর্তন হয়। আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করবো, যাতে কারো ভয়ে কেউ ভীত না হয় এবং যারা আজ রাতে উদযাপন করার ইচ্ছাপোষণ করেছেন তাদের বলছি, অন্যের দুঃখে নাচবেন না। আমরা শত্রু নই; আমরা একই রক্তের মানুষ।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটকে স্বাগত জানিয়েছেন। বেনেটের উদ্দেশে বাইডেন বলেন, ‘আমি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও স্থায়ী সম্পর্কের সমস্ত দিককে শক্তিশালী করতে প্রধানমন্ত্রী বেনেটের সঙ্গে কাজ করার প্রত্যাশায় রয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভালো বন্ধু ইসরায়েলের নেই।’
এবার ইসরায়েলের সংসদে ফিলিস্তিনপন্থী রাজনৈতিক দলও রয়েছে। ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিরা নতুন সরকারের বিরুদ্ধে আপত্তিকর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের এক মুখপাত্র বলেন ‘এটি ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের অবস্থান বরাবরই পরিষ্কার, আমরা যা চাই তা হলো- ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র, যার রাজধানী হবে জেরুজালেম।