সাবেক পাক সেনাশাসক পারভেজ মুশারফ
বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ মুশারফ। দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে তিন সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পরে চলতি সপ্তাহে ছাড়া পেয়েছেন। গত সপ্তাহে তার মৃত্যুর ভুয়া খবরও ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়! সাবেক সেই পাক সেনাশাসক পারভেজ মুশারফ নাকি এবার দেশে ফিরতে ব্যাকুল। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জীবনের শেষ দিনগুলি পাকিস্তানে কাটানোর ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন তিনি।
মুশারফ ২০১৬ সাল থেকে দুবাইয়ে স্বেচ্ছানির্বাসিত। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে পাকিস্তানের সন্ত্রাসদমন আদালত তাকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল। ২০০৭ সালে সংবিধান বাতিল করে সাংবিধানিক জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য তিন সদস্যের বেঞ্চ তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। ২০১৪ সালে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে চার্জ গঠন হয়েছিল। যদিও সাক্ষাৎকারে মুশারফ জানিয়েছেন, পাকিস্তানে থাকা তার বন্ধুরা এবং ‘প্রভাবশালী মহল’ তাকে দেশে ফেরাতে সক্রিয়। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
১৯৯৯ সালের অক্টোবরে রক্তপাতহীন সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন সেনাপ্রধান মুশারফ। প্রবল গণআন্দোলন এবং পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের জেরে ২০০৮-এর ১৮ আগস্ট প্রেসিডেন্ট পদ থেকেও ইস্তফা দিতে বাধ্য হন তিনি। ২০১৩-এ নির্বাচনে লড়তে দেশে ফিরলেও দেশদ্রোহিতার মামলায় গ্রেপ্তার হন মুশারফ। নিজের ফার্মহাউসেই গৃহবন্দি করে রাখা হয় তাকে। চিকিৎসার জন্য ২০১৬ সালে তাকে দুবাই যাওয়ার অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সে বছর মার্চ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছেন তিনি।
ডি-ইভূ