ইউক্রেনে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও মর্মবেদনা প্রকাশ করেছেন ভ্যাটিকান পোপ ফ্রান্সিস। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ফোন করে এমন অনুভূতি প্রকাশ করেন তিনি। ভ্যাটিকানে নিয়োজিত ইউক্রেনীয় দূতাবাসের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেন দূতাবাসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল চারটার দিকে জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন পোপ। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত উল্লেখ করেননি ওই কর্মকর্তা।
এক টুইটার পোস্টে পোপ ও জেলেনস্কির ফোনালাপের কথা নিশ্চিত করেছে ইউক্রেন দূতাবাস। ওই টুইটে বলা হয়, ‘আমাদের দেশে মর্মান্তিক যে ঘটনাগুলো ঘটছে, তা নিয়ে অত্যন্ত গভীর মর্মবেদনা প্রকাশ করেছেন মহান এ ধর্মগুরু।’
ইতিমধ্যে ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষও ফোনালাপের খবরটি নিশ্চিত করেছে। জেলেনস্কি নিজেও পোপকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি টুইট করেছেন। ইউক্রেনের জন্য শান্তি ও যুদ্ধবিরতি কামনা করায় পোপের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেনের জনগণ এ মহান ধর্মীয় নেতার আত্মিক সমর্থন অনুভব করতে পারছে।’
ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান নিয়ে উদ্বেগ জানাতে হঠাৎ করে রুশ দূতাবাস পরিদর্শনের এক দিনের মাথায় জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বললেন পোপ। আর্জেন্টিনার একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট সমাধানে ভ্যাটিকানের মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন পোপ। তবে ভ্যাটিকানে নিয়োজিত রাশিয়ার দূত খবরটির সত্যতা নাকচ করে দিয়েছেন।
গত শুক্রবার ইউক্রেনের ইস্টার্ন ক্যাথলিকদের নেতা ও আর্চবিশপ সিভিয়াতোসলাভ শেভচুককেও ফোন করেছিলেন পোপ। শেভচুক বলে আসছেন, তিনি কিয়েভ ছেড়ে যাবেন না। বোমার আঘাত থেকে ইউক্রেনীয়দের সুরক্ষা দিতে নিজের ক্যাথেড্রালের বেসমেন্টকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন তিনি।
শেভচুকের রোম কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, ফোনালাপের সময় আর্চবিশপকে সাধ্যমতো সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পোপ।