রাস্তায় কাউকে সামান্য হাঁচতে শুনলেই সতর্ক দৃষ্টি। সাত হাত দূরে ছিটকে যাচ্ছে কাছাকাছি থাকা মাথাগুলো। কারণ, ব্যাপারটা আর সামান্য নেই। হাঁচি, সর্দিকাশি, মাথার যন্ত্রণা, ক্লান্তি— এ সবই কোভিডের উপসর্গ। এমনকি পেট ব্যথা, ডায়েরিয়াও। কিন্তু সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এর কোনও কিছু নেই, সম্পূর্ণ উপসর্গহীন করোনা-পজ়িটিভের সংখ্যা বাড়ছে ব্রিটেনে। অর্থাৎ ভাইরাস সংক্রমণ ঘটিয়ে ফেললেও, রোগীকে সে ভাবে ঘায়েল করতে পারছে না।
এ দেশের ‘অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স’ জানাচ্ছে, দৈনিক সংক্রমিতের অর্ধেকেরও বেশি উপসর্গহীন। তাদের রিপোর্ট: গত ২১ মার্চ যাঁদের করোনা পরীক্ষা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ৪৭ শতাংশের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। এঁদের মধ্যে ৫৩ শতাংশের কোনও উপসর্গ ছিল না। কিন্তু এই উপসর্গহীনেরাও সমান সংক্রামক। অর্থাৎ, ওই ব্যক্তি নিজে না-ভুগলেও, নিজের অজান্তেই পাশের ব্যক্তিকে আক্রান্ত করতে পারেন। তাই মাস্ক পরা, দূরত্ববিধি মানা এখনও আবশ্যিক।
‘ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন’-এর বক্তব্য, লক্ষণ মন্দ নয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হারও কমেছে। বর্তমানে ব্রিটেনে ৫০০ জনের মধ্যে ১ জন করোনা-আক্রান্ত। ফেব্রুয়ারির থেকে যা দুই-তৃতীয়াংশ কম। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও কমেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর একটা বড় কারণ টিকাকরণ। বাসিন্দাদের প্রতিষেধক দেওয়ার বিষয়ে অনেকটাই এগিয়ে ব্রিটেন। টিকা প্রয়োগ প্রথম শুরু করেছিল তারাই।