কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহের বিরতিতে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সিদ্ধান্তেই আপাতত থাকছে ভারত। এরপর টিকা নেওয়া স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে তিনমাস পর এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে। দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ভারতের ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের ধরন বি.১.৬১৭.২ বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধের জন্য করোনা ভাইরাসের দুই ডোজ টিকা প্রয়োজন, যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এমন একটি তথ্য আসার পর ভারতীয় কর্মকর্তাদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানা গেল।
ভারতের ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমুউনাইজেশনের (এনটিএজিআই) একজন কর্মকর্তা বলছেন, কোভিশিল্ড নিয়ে প্রথমদিকে যে গবেষণা করা হয়েছিল তাতে দেখা যায় দুই ডোজে চার সপ্তাহের ব্যবধান থাকলে টিকাটি ৫৭ শতাংশ কার্যকর হচ্ছে। আবার দুই ডোজের বিরতি বাড়িয়ে ৮ সপ্তাহ করা হলে টিকার কার্যকারিতার হার বেড়ে দাঁড়ায় ৬০ শতাংশ। আর দুই ডোজে বিরতি ১২ সপ্তাহ করা হলে কার্যকারিতা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৩ শতাংশে।
এনটিএজিআইয়ের ওই কর্মকর্তা আরও বলছেন, কিন্তু যখন আমরা যুক্তরাজ্যে ১২ সপ্তাহের বিরতিতে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়াদের তথ্য বিশ্লেষণ করলাম সেখানে দেখলাম কার্যকারিতার হার আসলে ৬৫ থেকে ৮৮ শতাংশ।
এজন্য দুই ডোজের ব্যবধান নিয়ে আপাতত নতুন কোনো সিদ্ধান্তে যাচ্ছে না এটিএজিআই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকার প্রথম ডোজ শরীরে এমন মাত্রায় অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা করে, আর দ্বিতীয় ডোজ সংক্রমণ থেকে সুরেক্ষার হার বাড়ায়।
ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, যুক্তরাজ্যের গবেষণাটির বিষয়ে আরও স্বচ্ছতা প্রয়োজন। আমরা তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধানত হয়নি। আমরা প্রত্যক্ষ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।