ভারত ‘বিশ্বের ফার্মেসি’ হিসেবে পরিচিত। বিশ্বে যত টিকার চাহিদা, তার অর্ধেকের বেশি উৎপাদন হয় ভারতে। অথচ মহামারি করোনার দ্বিতীয় দফার প্রকোপে বিপর্যস্ত দেশটিতে টিকার চরম সংকট দেখা দিয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে দিল্লির রাজ্য সরকার টিকা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ জন্য আন্তর্জাতিক টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করেছে দিল্লি সরকার। আপাতত টিকার এক কোটি ডোজ কেনার কথা বলা হয়েছে। সমস্ত প্রক্রিয়া মেনে যে বা যারা যত তাড়াতাড়ি তা দিতে পারবে, তাদের কাছ থেকেই টিকা কেনা হবে।
টিকার জোগানের ঘাটতি নিয়ে এতদিন কেন্দ্রের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছিল দিল্লি সরকারের। এমনকি ভারত বায়োটেকের থেকে আলাদা করে কোভ্যাক্সিন কিনতে চাইলেও, কেন্দ্রের নিষেধ রয়েছে বলে তারা টিকা দিতে রাজি হয়নি, এই মর্মে অভিযোগও করে দিল্লি সরকার।
কিন্তু ভারতে করোনায় শীর্ষ বিপর্যস্ত দিল্লির টিকার সংকট অনেকদিন ধরে চলছে। তাই ভারতের জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লির সরকার চাহিদা পূরণে বিদেশি কোম্পানিগুলোর দারস্থ হলো। তবে বিদেশ থেকে টিকা কেনার ক্ষেত্রেও কড়া নিয়ম মেনে চলতে হচ্ছে তাদেরকে।
ভারত সরকারের অনুমতিপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো দিল্লি সরকারকে টিকা সরবরাহ করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভারতে টিকা বিক্রির অনুমতি না পেয়ে থাকলে, সরবরাহকারী সংস্থাকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অনুমতিপত্র নিতে হবে।
আগামী ৭ জুন স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার মধ্যে বিদেশি টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোকে দরপত্র জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি সরকার। সবচেয়ে কম সময়ে তারা ঠিক কী পরিমাণ টিকা সরবরাহ করতে পারবে, সেটিও নির্দিষ্ট করে জানাতে বলা হয়েছে।