অবিলম্বে তুরস্কের সেনাদের আফগানিস্তান ছাড়ার আহবান জানিয়েছে তালেবান। ২০২০ সালের চুক্তি মেনে দ্রুত তুরস্ককে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। এর আগে তুরস্ক প্রস্তাব দেয়, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর কাবুলের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আফগানিস্তানে থেকে যেতে চায় তারা। এ খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।
আফগানিস্তান যেকোনো সমুদ্র পথ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় দেশটির বিমানবন্দর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো ব্যবহার করেই সেনা প্রত্যাহার করতে হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাহিনীকে। তুরস্কের সেনাবাহিনী শেষ সময় পর্যন্ত এটির নিরাপত্তা দিতে পারলে পুরো প্রক্রিয়াটি নিরাপদ হতে পারবে। তুরস্কও এটি করতে চাইছে যাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা সম্পর্কোন্নয়ন করতে পারে। রাশিয়া থেকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় নিয়ে টানাপড়েন চলছে এই দুই ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে। তুরস্ক এখন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিবাচক দৃষ্টি পেতে উঠে পরে লেগেছে।
তুরস্ক জানিয়েছিল, যতদিন না বিদেশি সকল সেনা আফগানিস্তান না ছাড়ছে ততদিন তারা কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দিতে চায়। কিন্তু তালেবান তুরস্কের এমন দাবি মেনে নিতে নারাজ। তালেবান বলছে, অন্য দেশের সেনাদের সঙ্গে তুরস্কের সেনাদেরও চলে যেতে হবে। তুরস্ক যেহেতু ন্যাটোর হয়ে তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে তাই চুক্তি অনুযায়ী ন্যাটোর সকল সেনাদের ন্যায় তাদেরও ফিরে যেতে হবে।