পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন অভিষেক ব্যানার্জি। মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের প্রধান মমতা ব্যানার্জির পরেই এবার দলের ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ড’এর ভূমিকায় অভিষেক।
শনিবার তৃণমূল ভবনে দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে যুব তৃণমূল সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন অভিষেক ব্যানার্জি। তার জায়গায় এবার যুব তৃণমূলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সায়নী ঘোষকে। একইসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী হয়েছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
বিধানসভায় বড় জয়ের পর প্রথম বার সাংগঠনিক বৈঠেকর ডাক দেন মমতা ব্যানার্জি। শনিবার দুপুর ২টা দিকে তৃণমূল ভবনে ওই বৈঠকের ডাক দেন তিনি।
তৃণমূলের প্রধান মমতা উপস্থিতিতে দলের বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিধানসভা ভোটে রাজ্যে বিপুল সাফল্যের পর থেকেই তৃণমূলে অভিষেকের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। এর আগে যুব তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব সামলান অভিষেক। এই পদে তিনি সফলই বলা চলে। এবার সেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত করা হলো তাকে।
এছাড়াও তৃণমূলের সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনের সভানেত্রী হয়েছেন দোলা সেন। দলের কৃষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে পূর্ণেন্দু সেনকে। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি হয়েছেন ঋতাব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও ৮ জেলার সভাপতি বদল করেছে তৃণমূল।
বৈঠকে দলীয় নেতৃত্বকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা। জানিয়েছেন, কোনো অবস্থায় দুর্নীতির সঙ্গে জড়ানো চলবে না। মানুষের কাছাকাছি থাকতে লালবাতি ওয়ালা গাড়ির ব্যবহার কমাতে হবে। সরকার ও দলের সমন্বয় বাড়াতে হবে। সঙ্গে মনে রাখতে হবে দল আর সরকার আলাদা অস্তিত্ব।