নাইজেরিয়ায় একটি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে গণঅপহরণের শিকার হওয়া সন্তানদের ফেরত চান তাদের বাবা-মায়েরা। দেশটির নাইজার প্রদেশে তেজিনা শহরের সালিহু তানকু ইসলামিক স্কুলের সামনে অবস্থান নিয়ে তাঁরা এ দাবি জানান। গত ৩০ মে এখান থেকেই গণঅপহরণের শিকার হয়েছে তাদের ১৩৬ শিশু সন্তান। যাদের মধ্যে ছয় থেকে ১৮ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীরা রয়েছে।
শুরুতে বন্দুকধারীরা মোটরসাইকেলে করে শহরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পালাতে শুরু করে সাধারণ মানুষ। এরপর বন্দুকধারীরা প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের ধরে নিয়ে যায়। এসময় বন্দুকধারীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে একজন নিহত হয়। নাইজার প্রদেশ কর্তৃপক্ষ বলছে, অপহরণের শিকার হওয়া ১৩৬ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে চেষ্টা করা হচ্ছে।
মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপহরণের ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে জামফারা স্টেটের জাঙ্গেবে এলাকার একটি আবাসিক স্কুল থেকে প্রায় ৩শ ছাত্রীকে অপহরণ করেছিল অস্ত্রধারীরা। যদিও তাদের বেশিরভাগকেই পরে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। গত ডিসেম্বর থেকে নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্যাঞ্চলে শিক্ষার্থী অপহরণের কমপক্ষে ৬টি ঘটনা ঘটেছে। এঘটনাগুলোতে ৭শ’র বেশি ছাত্র-ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়।
২০১৪ সালে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় চিবক শহরে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম ২৭৬ জন ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনা ঘটার পর বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। তবে সাম্প্রতিক হামলা ও অপহরণগুলো আলাদা কোন চক্র চালাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।