নিউইয়র্ক তদন্তে প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকৃতি ট্রাম্পের
আন্তর্জাতিক

নিউইয়র্ক তদন্তে প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকৃতি ট্রাম্পের

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারিবারিক ব্যবসা নিয়ে নিউইয়র্কে যে তদন্ত চলছে, সেখানে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প।

ঋণ ও কর সুবিধা পাবার জন্য সাবেক এই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্পদের সঠিক মূল্য না দিয়ে কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনীত হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, কোনো অন্যায় করেননি তিনি এবং তার বিরুদ্ধে যে তদন্ত হচ্ছে, সেটি তাকে হেয় করার জন্য নিছক প্রচারণামাত্র। খবর বিবিসির।

কয়েকদিন আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাসভবনে মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআই পৃথক একটি অভিযোগে তল্লাশি চালিয়েছিল। ম্যানহাটনে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে জেরা করার এক বিবৃতিতে নিউইয়র্ক অ্যাটর্নি জেনারেল ও এ তদন্তের সমালোচনা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রতিটি নাগরিকের যে অধিকার দেয়া আছে, তার আওতায় প্রশ্নের জবাব দিতে আমি অস্বীকৃতি জানিয়েছি।

এ সময় ট্রাম্পের অপরাধের যেসব প্রমাণ দেয়া হয়েছে, সেগুলোর বিপরীতে পঞ্চম সংশোধনীতে থাকা অধিকার তুলে ধরেছেন তিনি। অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় জানিয়েছে, তাদের তদন্ত চলবে এবং আইন ও তথ্য প্রমাণ যেদিকে নিয়ে যায় তারা সেদিকে যাবেন।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হয়তো ট্রাম্প প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন কারণ তদন্তের সময় উত্তরগুলো তার বিরুদ্ধেই ব্যবহার করা হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী এনেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে কোনো মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তার নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য বাধ্য করা যাবে না।

ট্রাম্পের আইনজীবী সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন, এই জেরা চারঘণ্টা পর্যন্ত চলেছে এবং মাঝেমধ্যে দীর্ঘ বিরতি দেয়া হয়েছে। শুরুতেই একটি লিখিত বক্তব্য দেন ট্রাম্প। সেখানে অ্যাটর্নি জেনারেল ও এ তদন্তের নিন্দা জানান তিনি। একই সঙ্গে পঞ্চম সংশোধনীতে থাকা অধিকারের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।

জেরাকালীন ট্রাম্পকে যতগুলো প্রশ্ন করা হয়েছে তার সবগুলোর জবাবে তিনি ‘একই কথা’ বলেছেন। এ তদন্ত শেষ হওয়ার পর অ্যাটর্নি জেনারেল ট্রাম্প ও তার কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারেন।

এদিকে, ট্রাম্প ও তার সন্তানদের যাতে কোনো জেরার মুখে পড়তে না হয়, সেজন্য নিউইয়র্ক অ্যাটর্নি জেনারেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে চেয়েছিলেন তার আইনজীবী। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক রায় দেন যে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার আরও দুই সন্তানকে অবশ্যই জেরার জন্য আদালতে হাজির হতে হবে।

ডি- এইচএ

Source link

Related posts

জন্মদিনে মায়ের পা ধুয়ে দিলেন মোদি

News Desk

গ্লাসগোর প্রাপ্তি শূন্য, মিশরে কী হবে?

News Desk

এ বছর শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল: জাতিসংঘ

News Desk

Leave a Comment