ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরো চেয়ারম্যান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ফিলিস্তিনের পরিকল্পিত নির্বাচন স্থগিত করার কোনো গ্রহণযোগ্য যুক্তি নেই। শুক্রবার এক টেলিভিশন সাক্ষাতকারে এই মন্তব্য করেন তিনি।
হামাস প্রধান নির্বাচন স্থগিতের ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘যদি অসলো চুক্তি মেনে চলা হয়, তবে নির্বাচন স্থগিতের অর্থ ফিলিস্তিনিদের রাজনৈতিক অধিকার বাজেয়াপ্ত করা।’
যদি ফিলিস্তিনিদের ইচ্ছা ইসরাইলি সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, তবে রাজনৈতিকভাবে ইসরাইলকে মোকাবেলা করা যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। জেরুসালেমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর জোর দিয়ে ইসমাইল হানিয়া বলেন, ‘জেরুসালেম ছাড়া ফিলিস্তিন বা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কোনো অর্থই আমাদের কাছে নেই। জেরুসালেমের রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন মাত্রার গুরুত্ব রয়েছে।’
ফিলিস্তিনিরা জেরুসালেমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জোর দাবি করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নির্বাচনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া আবার চালু করার জন্য এখনো সময় রয়েছে এবং জেরুসালেমের বাসিন্দাদেরও তাদের রাজনৈতিক অধিকার অনুশীলনের সুযোগ রয়েছে। এর আগে শুক্রবার ইসরাইলি নিয়ন্ত্রণে থাকা জেরুসালেমে ফিলিস্তিনিদের ভোট গ্রহণ অনুমোদনের অনিশ্চয়তায় নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, ‘জেরুসালেমে নির্বাচনের নিশ্চয়তা পাওয়া না পর্যন্ত আমরা তা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিসরের রাজধানী কায়রোতে ফিলিস্তিনের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল ফাতাহ ও হামাসসহ অন্য রাজনৈতিক পক্ষগুলোর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ঐক্যমতের ভিত্তিতে নতুন এই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২২ মে সাধারণ নির্বাচন ও ৩১ জুলাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি