যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ কোটি ডলারের অনুদান সহায়তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে নেপালে। গতকাল রোববার শত শত বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। মার্কিন এই সহায়তা প্রধানমন্ত্রী নেপালি কংগ্রেস পার্টির শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোটকে বিভক্ত করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার আজ সোমবারের এক অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্য মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ কো-অপারেশন (এমসিসি) ওই চুক্তি হয় নেপালের। কিন্তু জোট সরকারের শরিক দল দুটি কমিউনিস্ট পার্টি এর বিরোধিতা করে আসছিল।
যারা এই চুক্তির বিরোধিতা করছে তাদের দাবি, চুক্তির শর্ত নেপালের আইনের ঊর্ধ্বে চলে গেছে। এ ছাড়া এ চুক্তির কারণে হুমকির মুখে পড়েছে নেপালের সার্বভৌমত্ব। তারা বলছে, ওয়াশিংটনের ইন্দো-প্যাসিফিক ভূরাজনীতির অংশ এই চুক্তি। এ চুক্তির কারণে নেপালে মার্কিন সৈন্য পাঠানোর পথ তৈরি হয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে অন্য কথা। চুক্তি নিয়ে আপত্তি ওঠার পর যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সম্প্রতি নেপালের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা আশ্বস্ত করেছেন যে মার্কিন অনুদান শুধু নেপালের উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত। অনুদানের সহায়তার অর্থ দেশটিতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ ও সড়কের উন্নতিতে ব্যবহার করা হবে।
নেপালে গতকাল শত শত বিক্ষোভকারী এ চুক্তির প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। এ সময় তাঁরা ব্যারিকেড সরিয়ে দিয়ে পুলিশের দিকে পাথর ছুড়তে শুরু করেন। পুলিশ বাঁশের লাঠি, কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।
ক্ষমতাসীন নেপালি কংগ্রেস পার্টির মুখপাত্র প্রকাশ সরণ মাহাত বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, যদিও তাঁরা চুক্তিটি পার্লামেন্টে উপস্থাপন করতে সম্মত হয়েছেন, তবে এরপরও এটা স্পষ্ট নয় যে সরকারের জোট শরিকেরা চুক্তির পক্ষে ভোট দেবে কিনা। তাদের বোঝানোর জন্য আমাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’