ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণুকেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান।তেহরানের দক্ষিণাঞ্চলে নাতাঞ্জকেন্দ্রে রোববার হঠাৎ করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, যা স্পর্শকাতর এ সেক্টরের জন্য বিরল ঘটনা। এ ঘটনাকে সোমবার ইসরাইলের নাশকতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মো. জাভেদ জারিফ। খবর আলজাজিরার।
ইরান এটিকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ জন্য সরাসরি ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলকে দায়ী করে এ হামলার কঠোর প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে জানান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দুর্ঘটনার একদিন আগে শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি নাতাঞ্জকেন্দ্রে নতুন সেন্ট্রিফিউজ উদ্বোধন করেন। সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদনে সেন্ট্রিফিউজ যন্ত্রটি কাজে লাগে। পরে ওই ইউরেনিয়াম ব্যবহার করে রিয়্যাক্টর ফুয়েল বা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা যায়। ইরান জানিয়েছে, ভূগর্ভে নতুন করে ১৫০ সেন্ট্রিফিউজ চালু করা হচ্ছে।
তবে দুর্ঘটনার দিন রোববার বিকালেই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে বিস্তর লড়াই বাকি। কিন্তু আজ যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, কালও যে একই অবস্থা থাকবে এমনটি নয়।
অ্যাটমিক এনার্জি অর্গানাইজেশন অব ইরানের (এইওআই) প্রধান আলী আকবর সালেহি বলেছেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার মাধ্যমে এটি পরিষ্কার, পরমাণু বিজ্ঞানে ইরানের অগ্রগতি ও উন্নয়ন এবং চলমান পরমাণু আলোচনার শত্রুরা নাতাঞ্জের পরমাণু প্রযুক্তিতে সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। সন্ত্রাসী কাণ্ড যারা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার ইরানের রয়েছে।